রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ, পুলিশ দেখে স্ত্রীকে রেখে পালালেন স্বামী

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৪ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে থাকা এনজিও পরিচালককে আটক করেছে পুলশি। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার পুরাতন সাতক্ষীরার মায়েরবাড়ী মন্দিরের পাশবর্তী একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।

তবে এনজিও পরিচালক স্ত্রী আটক হলেও পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় এনজিওটির ম্যানেজার স্বামী। আটক আরিফা খাতুন প্রিমিয়ার ইসলামী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ এর পরিচালক।


বিজ্ঞাপন


একইসঙ্গে তিনি সাতক্ষীরার মাছখোলা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। এনজিওটি’র কর্মী রীনা পারভীনের করা প্রতারণার মামলায় পরিচালক আরিফা খাতুন আটক হয়েছে।

মামলার বাদী রীনা পারভীন দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়ীয়া পারুলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের কন্যা। তার করা মামলা নম্বর-৪০।

মামলার বাদী রীণা পারভীনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়ার ইসলামী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ রীনা পারভীন এনজিওটিতে ২০১২ সালে মাঠ পর্যায়ে কর্মী হিসেবে যোগদান করেন। এর পর ওই এনজিও পরিচালক আরিফা খাতুন ও তার স্বামী ম্যানেজার কামরুল ইসলাম তার মাধ্যমে এনজিওর ডিপিএস এর জন্য তার দুই বোন পুলিশ সদস্য রত্না খাতুন ও ঝর্ণা খাতুন এবং হেনা খাতুন, রেজওয়ানা খাতুন, ইউসুপ আলী, আমেনা খাতুন, রেশমা খাতুন, ইমরান ও রফিকুল ইসলাম গংদের নিকট থেকে মোট ৬৪ টি হিসাবের মাধ্যমে ৩৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা গ্রহন করেন।

রীণা পারভীন জানান, দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর ডিপিএস এর মেয়াদ পূর্ন হলেও তাদের নায্য পাওনা টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিগত আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্র ছায়ায় থেকে ভয়ভিতি দেখিয়ে আসছিল। দিনের পর দিন দিন গ্রাহকরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা না পেয়ে ক্ষুব্দহন। এনিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় কয়েক দফায় বসাবসি হয়। এক পর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পাওনা টাকা দিতে স্বীকার হয়ে তারা গ্রাহকের টাকা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এক পর্যায়ে বহু হয়রানি ও লাঞ্জনার স্বীকার হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কন্যা রীনা পারভীন বাদি হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।


বিজ্ঞাপন


মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই মহাসিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে সঞ্চয় ও জমাদেওয়া ডিপিএস এর টাকা এনজিও পরিচালক আরিফা খাতুন ও তার স্বামী ম্যানেজার কামরুল ইসলাম আত্মসাত করেছে। এনজিও কর্মী ও ওই এনজিওর গ্রাহক রীনা পারভীনের দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকরা হয়। উভয় পক্ষকে নিয়ে থানাতে বসাবসি হলে তারা মামলাটি গ্রহন না করার অনুরোধ জানিয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা গ্রাহকের টাকা না দিয়ে বাদি পক্ষকে হমকি-ধামকি ও লাঞ্চিত করে স্বামী-স্ত্রী আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড হলে অভিযান চালিয়ে দুপুরে একটি বাড়ী থেকে এনজিও পরিচালকে আরিফা খাতুনকে আটক করা হয়। তবে এনজিওটির ম্যানেজার ও পরিচালকে আরিফা খাতুনের স্বামী কামরুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন