ধানমন্ডি ৩২ এর ‘বুলডোজার কর্মসূচি’র জেরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গত বুধবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) সেই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনার দায় এড়িয়ে গেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান।
বিজ্ঞাপন
কাদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এখনও সময় বেশি পার হয় নাই। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছি, তারা না বলে। বিষয়টি তদন্তের বিষয়। কে করছে, তা আদতে পরিষ্কার না।’
স্থানীয়দের বরাতে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল।
এ বিষয়ে পুলিশ কিছু জানে কি—না জিজ্ঞেস করলে ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ‘না।’
বেগমগঞ্জ থানার ওসি বলেন, ‘ওখানে একজন কেয়ারটেকার ছিল। তাকে জিজ্ঞেস করছিলাম। সে বলছে হৈ-হুল্লোড় শুনে সে পালায়ে চলে গেছে। সে না কি দেখে নাই। ৩০ থেকে ৩৫ জনের কথা শুনেছি। মনে হয় হামলাকারী আরও বেশি ছিল। কেউ কেউ বলে ৫০ জন।’
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনায় রাতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে, স্থানীয় সাংবাদিক হাসিব আল আমিন বিবিসি বাংলাকে জানান, ‘সমন্বয়করা বলছে, এই কাজ তাদের নয়। গতকাল বেগমগঞ্জে তাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। শুধু ওবায়দুল কাদের বাড়িতে ছিল। তারা বলছে, তাদেরকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অন্য কেউ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই হামলা করেছে। হামলার সময় সেখানে কেউ ছিল না। পরে আমরা খবর পেয়ে রাতের অন্ধকারে গিয়ে ছবি-টবি তুলি।’
এমএইচটি