নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নলকূপ বসানোর সময় ভূগর্ভস্থ গ্যাস নির্গমনের ঘটনা ঘটেছে। ফারুক ব্যাপারি নামের এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ির পাশে চার মাস ধরে এই গ্যাস বের হচ্ছে এবং তা দিয়ে নিয়মিত রান্নাবান্না চলছে। বিষয়টি জানাজানি হলে কৌতূহলী মানুষ প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
‘নোয়াখালীতে নলকূপে গ্যাসের সন্ধান; চার মাস ধরে চলছে রান্না’ শিরোনামে ঢাকা মেইলে নিউজের পর নজরে আসে বাপেক্স কর্তৃপক্ষের। পরে বাপেক্স থেকে একটি প্রতিনিধিদল নলকূপ পরিদর্শন শেষে প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে ফারুক ব্যাপারির বাড়িতে অনুসন্ধানে যান। সেখানে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন তারা।
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের জরিপ দলের উপ-ব্যবস্থাপক মো. ইমামুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল অনুসন্ধান চালায়। এ বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। অনুসন্ধানে গিয়ে এটি বায়োগ্যাস মনে হয়েছে। এজন্য এর যে মুখ রয়েছে তা আমরা খুলে দিয়েছি; যদি বায়োগ্যাস হয় তাহলে এটি শেষ হয়ে যাবে। তবে এই গ্যাস নিয়ে আরো যাচাই-বাছাই করতে হবে। তারপর চূড়ান্তভাবে জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেইলে এ নিউজটি প্রকাশিত হয়। নোয়াখালীতে নলকূপ বসানোর সময় পাইপ দিয়ে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছে। এতে গত কয়েক মাস ধরে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারুক ব্যাপারির বাড়িতে নলকূপের পাশে চুলা বসিয়ে নিয়মিত দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় রান্না করে আসছেন । এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা উৎসুক লোকজন তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
গত সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে তার বসানো নলকূপের পাশে একটি চুলা বসিয়ে তা দিয়ে রান্নাবান্না করছে তার পরিবার। ওই চুলা দিয়ে রান্না শেষে বন্ধ করলেও নিয়মিত গ্যাস বের হচ্ছে। ব্যবসায়ী ফারুক ব্যাপারি জানান, গৃহস্থালি কাজের জন্য বাড়িতে গত দু’বছর আগে ৩৫ ফুট গভীর একটি নলকূপ বসান। কিন্তু সেখানে বসাতে গিয়ে পানির সমস্যার কারণে গত বছর স্থান পরিবর্তন করে আবার ১৬৫ ফুট গভীরতায় নলকূপ বসান। সেখানে বসাতে গিয়ে দেখেন পাইপ জোড়া লাগাতে গিয়ে দিয়াশলাইয়ের আগুন লাগালে পানির মধ্যে আগুন ধরে যায়। তখন এটাকে স্বাভাবিক মনে করে নলকূপ বসিয়ে শ্রমিকরা চলে যান। এরপর তার বাড়ির ছেলেমেয়েরা খেলার ছলে সেখানে একটি গর্ত করে আগুন দিয়ে রান্না করে।
প্রতিনিধি/এফএ