দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এক কর্মচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত (স্কেল অপারেটর) মুন্না আজিজ বাবু (৪৫) খনির স্টাফ কোয়ার্টারে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) খনির আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মুন্না আজিজ বাবু জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার খঞ্জনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে খনির অভ্যন্তরে কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত আবাসিক ভবনের ২০৫ নম্বর রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখতে পায় পাশে বসবাসরত কর্মচারীরা। পরে দরজা খুলে মুন্না আজিজ বাবু নামে ওই খনি কর্মচারীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার রুমের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার স্ত্রী ও সন্তানেরা ফুলবাড়ীতে (দিনাজপুর) বসবাস করে।
খনির ব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ বলেন, মুন্না আজিজ বাবু ১৯ বছর ৬ মাস ধরে খনিতে কর্মরত ছিলেন। আজ তার ডিউটি ছিল না, ঘরে একাই ছিলেন। ধোঁয়া দেখতে পেয়ে শ্রমিকেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস ছালাম বলেন, অগ্নিদগ্ধে মৃত খনি কর্মচারী মুন্না আজিজ বাবু মাদকাসক্ত হওয়ায় বেশ কিছুদিন বগুড়ায় মাদক নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। খনির স্টাফ কোয়ার্টারে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে সিগারেট জ্বালানোর দিয়াশলাই বা গ্যাসলাইটার থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এফএ