জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তাকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তার বড় ভাই মো. আলমগীর চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১১ জানুয়ারি শনিবার মহিলা দলের কর্মিসভা উপলক্ষে কর্মী-সমর্থকদের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় কসাই বজলু মিয়াকে ৭৬ কেজি গরুর মাংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী কসাই বজলু মিয়া শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার বাড়িতে একটি গরু নিয়ে আসেন। পরে সেই গরু জবাই করে ৭৬ কেজি মাংস মেপে দিয়ে বাকি মাংস কসাই বজলু মিয়া নিজের সাথে নিয়ে চলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আলমগীর চৌধুরী আরও বলেন, তার ভাই মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা টাকার বিনিময়ে কসাই বজলু মিয়ার কাছ থেকে মাংস কিনেছেন, কিন্তু কসাই বজলু গরু চুরি করে এনেছেন কি না তা তারা জানতেন না।
এ ঘটনা নিয়ে ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর প্রতিপক্ষরা হট্টগোল সৃষ্টি করে তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গরু চোরের একটি সাজানো মামলা দায়ের করে তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা এই সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রাণ চান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাসুদুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল হাকিম, বারেক মুন্সি, শাকিল আহমেদ, খোশ মাহমুদ প্রামানিক ও জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/জেবি