শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১৮ মাসের কাজ ৬ বছরেও শেষ হয়নি, ভোগান্তিতে রোগীরা

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৬ জন। এই জনমানুষের একমাত্র ভরসা দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

পাহাড়ের স্বাস্থ্যাসেবা এমনিতে নাজুক। তার ওপর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, উপজেলার উন্নত স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১৮ কোটি টাকার ব্যয়ে ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির কাজ করছে হেল্থ ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের আওতাধীন মেক কনস্ট্রাকশন।

thumbnail_Khagrachari_Hill_Health_Complex_Photo_-_2

প্রকল্পটির তত্ত্বাবধায়ক মেহেদী হাসান জানান, নির্মাণাধীন ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রকল্পটি দীর্ঘ ছয় মাস কাজ বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের ভবন বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে পুরোনো জরাজীর্ণ টিন সেডের ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। পুরোনো জরাজীর্ণ শয্যাগুলোতে রোগী ভর্তি করানো হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে শীতের মধ্যে জরাজীর্ণ ঘরের নিচে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে সেবা নিতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

চাঁদার জন্য আবাসিক হোটেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীর হানা, না দেওয়ায় ডাকাতি!

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন জানান, কয়েক ধাপে মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি। কিছু টাকার বিনিময়ে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার জানান, ৬ মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য হাসপাতালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলতে হয়েছে। এখন আমরা রোগীদের জায়গা দিতে পারছি না। ভর্তি রোগী রাখতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। চিকিৎসকদের জন্য কোনো রুম নেই। এক রুমে তিনজন চিকিৎসক বসে রোগী দেখতে হচ্ছে। ঠিকমতো দেখার পরিবেশ পাচ্ছি না। ল্যাব রুমে ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে না। ইমারজেন্সি এবং আউটডোর ঠিকমতো সেবা দিতে পারছি না। সব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। রোগীর কথা ভেবে দ্রুত ভবন চাই চিকিৎসকরা।

thumbnail_Khagrachari_Hill_Health_Complex_Photo_-_3

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের বলেন, কাজ বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে জানিয়েছি। বিলম্ব হচ্ছে, জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

নির্মাণাধীন দীঘিনালার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ধীরগতি আর জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে চিকিৎসায় ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসক, রোগী ও রোগীর স্বজনরা।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন