মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

গাজীপুরে কৃষকদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা: ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

গাজীপুরের ধীরাশ্রমের দাক্ষিণখান এলাকায় রাকিব মোল্লা (৩৫) নামের কৃষকদলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইব্রাহিম মোল্লা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে শনিবার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশের ধারণা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং কেবল টিভি (ডিশ) ও ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নিহত রাকিব মোল্লা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানার দাক্ষিণখান এলাকার ইসমাইল মোল্লার ছেলে। তিনি সদর থানা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমাস মোল্লার ভাতিজা ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাকিব মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শহীদ হাজীর বাড়ির পাশের রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দাক্ষিণখান এলাকায় ইন্তাজ ও সেলিম মিয়া মিলে কেবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। সম্প্রতি রাকিব মোল্লা সেই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিরোধ শুরু হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রাকিবের সঙ্গে ইন্তাজ ও সেলিম মিয়ার প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দেয়।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাকিব ওই এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন সংবাদ পেয়ে প্রতিপক্ষ ইন্তাজ, সেলিমসহ অন্তত সাতজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে যায়। একপর্যায়ে তারা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাকিব গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


বিজ্ঞাপন


জিএমপির উপকমিশনার (অপরাধ) রবিউল হাসান জানান, নিহতের মাথা, ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং কেবল ও ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মামলার পর থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন