নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে মোছা. শেলী আক্তার (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে এ ঘটনায় তার তিন সন্তান ও স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। নিহতরা স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ২৬ অক্টোবর রাতে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালটিতে একই পরিবারের ছয়জন ভর্তি হয়। দগ্ধ বাবুল ৬৬ শতাংশ, শেলী ৩০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে ভর্তির করা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে মোছা. শেলী আক্তর মারা গেছেন। এর আগে তার দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শেলীর শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই ঘটনায় তার আরেক মেয়ে মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
নিহত শেলী আক্তারের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে রূপগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন।
বিজ্ঞাপন
নিহতদের স্বজনরা বলেন, সবাই রূপগঞ্জের ফকিরা গার্মেন্টস কাজ করতো। একই রুমে বসবাস করত তারা সবাই। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় সকলেই।
লাইনের গ্যাস লিকেস হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয় জনই দগ্ধ হযলে তাদের দ্রুত বার্ণ ইউনিটে নিয়ে আনা হয়। এরপরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরের দিকে আমার দুই ভাগিনা সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান লাশ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস