দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বাজারে কাঁচা মরিচের দামে আবার অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে উপজেলার খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজিতে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৪০০ টাকায় উঠেছে।
বিক্রেতার বলছেন, টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমায় কাঁচা মরিচের দাম এভাবে উঠানামা করছে। একই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচা মরিচ ও সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
তারা জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় কাঁচা মরিচ কেজিতে প্রায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কেনা কমিয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৬ অক্টোবর) পৌরসভার দৈনিক বাজারে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। কাঁচা মরিচের দামের এই উচ্চমূল্যের পেছনে টানা বৃষ্টিকে দুষছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
পৌরশহরের বলাকা মোড় এলাকা খুচরা ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, পাইকারিতে অস্থির কাঁচা মরিচের বাজার। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে সেটি ৪০০ টাকায় উঠেছে।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা অমূল্য রায় বলেন, কয়েকদিন আগে কাঁচা মরিচের দাম কম ছিল। আগে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে ছিল। এখন সব সবজির দাম বেশি। দুই-তিন দিন ধরে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে মরিচ উঠছে কম। এতে দাম বেড়েছে। আড়তে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথাই বলা যায় না। মরিচ থাকলেও দাম বেশি ধরে রাখছে। এখানে গিয়ে কথায় বলা যায় না। পাইকারা দাম কনাচ্ছে না।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে টাকায়। করলার কেজি ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না গাজর ২০০ টাকা, ফুল কপি ১০০ থেকে ১২০টাকা, কচুমুখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস