রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

হিলি দিয়ে ১২৩ টন পেঁয়াজ আমদানি

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ২০ শতাংশ শুল্ক আর ৪০৫ ডলারে ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়।


বিজ্ঞাপন


এসব পেঁয়াজ আমদানি করছেন মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স।

হিলি বন্দর ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের (১৩ সেপ্টেম্বর) পণ্যটি রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রফতানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুদিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। আশা করছি আমদানি বাড়ার পাশাপাশি দামও কমবে।

আরও পড়ুন

ভোক্তা অধিদফতরের অভিযান: সমন্বয়কদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের হাতাহাতি

জানা যায়, গত বছর ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রফতানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।


বিজ্ঞাপন


হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টন প্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে।

সেই মোতাবেক ভারতের রফতানিকারকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় টন প্রতি ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচে কমেছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন