ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে কখনও দুর্ভিক্ষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
রোববার (১৫ মে) দুপুরে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার গড়মল্লিকপুর দাখিল মাদরাসায় আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিটি বাজেটে কৃষিতে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এর ফলে কৃষক একই জমিতে ‘সাথী ফসল’ উৎপাদন করতে পারছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় ‘সাথী ফসল’ চাষ একটি সহায়ক প্রচেষ্টা। এতে দারিদ্র পীড়িত চাষি ভাইদের অতিরিক্ত একটি ফসল ফলিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর আখ চাষিগণ সাথী ফসল চাষের দ্বারা আখ চাষের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে অতিরিক্ত আয়সহ আরও বেশি পরিমাণ আখ ও সাথী ফসল উৎপাদন করে চিনি, গুড় ও অন্যান্য খাদ্য ঘাটতি পূরণে অবদান রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মাঠ দিবস উপলক্ষে ‘আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনক ভাবে আখের সাথে ২য় সাথী ফসল চাষাবাদ’ শীর্ষক ওই সভার সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও আরএসআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (অ.দা.) ও ইনচার্জ ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ, সেতাবগঞ্জ সুগারমিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) এর পাবনার ঈশ্বরদীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেল, বিএসআরআই এর কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নূর আলম প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএসআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম।
এ দিন সভায় যোগ দেওয়ার আগে আখ ও আখের সঙ্গে দ্বিতীয় ‘সাথী ফসল’ প্লটসমূহের মুগডাল ও গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ পরিদর্শন করেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপিসহ বিএসআরআই এর বিজ্ঞানীরা।
প্রতিনিধি/আইএইচ