পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের ভবন আছে, রোগী আছে, প্রয়োজনীয় পরিমাণ আসবাবপত্র আছে এবং চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও আছে। শুধু নেই চিকিৎসক। গেল চার বছরেও কোনো চিকিৎসক আসেনি এই হাসপাতালে। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানায়, সরকার প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে। কিন্তু এটা কোনো কাজেই আসছে না।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, একজন অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (ডেপুটেশনে), একজন অস্থায়ী সেবিকা সহকারী (ডেপুটেশনে), একজন পাহারাদার ও ঝাড়ুদার দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। অথচ ১০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে চার বছর আগে। কিন্তু এতদিনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেয়নি কোনো চিকিৎসক, সেবিকা ও টেকনিশিয়ানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালটি ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে কর্মরত এবং আবাসিকভাবে বসবাস করছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ফেরদৌসী বেগম। তিনি জানান, আমি এখানে চার বছর কর্মরত আছি। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় রোগীরা ভর্তি হয় না। আসবাবপত্রসহ নানা সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুধু একজন ডাক্তারের অভাবে।
এদিকে গলাচিপা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান জানান, ২০১৮ সাল থেকে চালু আছে হাসপাতালটি। স্থানীয় যে লোকবল আছে তাদের দ্বারা চালু রেখেছি। কিন্তু এখানে আরও অধিক সেবা নিশ্চিতের জন্য দরকার সিজারিয়ান সেকশন, গর্ভবর্তীদের সেবা দেওয়ার জন্য একজন গাইনোকোলজিস্ট এবং এনেসথেসিয়াকোলজিস্ট। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তারা বিষয়টি অবগত আছেন নিয়োগ-প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন।
পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ রানা জানান, চার বছর আগে হাসপাতালটি নির্মাণ হলেও চিকিৎসকের অভাবে এটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না।
পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটা উদ্বোধন করা হবে।
প্রতিনিধি/এইউ