২০০ বছরের পুরনো রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৫০ পরিবার

অথচ, প্রায় ৫০টি পরিবারের ৫০০ মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়া, এই রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী গ্রামেও যাওয়া যায়। রাস্তায় এমন প্রাচীর নির্মাণ হওয়ায় ভুক্তভোগীরা কাজকর্মে যেতে পারছে না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। এমনকি মসজিদ ও বাজারেও যেতে পারছে না।

ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এ রাস্তা আমরা ব্যবহার করে আসছি। হঠাৎ কবির আমাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, না হলে আমাদের চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দিতো। টাকা না দেওয়ায় আমাদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে কলেজে যেতে পারছে না। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের রাস্তা আমাদের ফিরে দেন।

আরেক ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, তিনদিন ধরে মসজিদে যেতে পারছি না। বাড়ি বসে আমরা পুরুষরা নামাজ আদায় করছি। পুরো রাস্তা কবির ও জসিম দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দিছে। এ দেশে জুলুমবাজদের কি বিচার হবে না, আমাদের জায়গায় সে দেওয়াল তুলল, অথচ সরকারের লোকজনের কাছে গেল তারা চুপ থাকে, আমরা এখন কই যাব।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত কবির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে জায়গায় প্রাচীর তুলেছি, সেটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আর তারা যদি তাদের রাস্তার জায়গা না রেখে বাড়িঘর দিয়ে দেয় সেখানে আমি কি করব। আর আমি তাদেরকে কোনো হুমকি ধামকি কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করিনি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

ইউপি সদস্য কামাল হলেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, তা ভিত্তিহীন। এরা তাদের মধ্যাকার ঝামেলা, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমরা এলাকাবাসীরা বসে এই বিষয়ে সমাধান করব।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আকতার বলেন, আমি এই বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। সে এই বিষয়ে দু’পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করবেন।

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, আমি গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি, উপজেলা দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি, যাতে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

প্রতিনিধি/এসএস