রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেলেন খুলনার যমজ দুই বোন

মো. গোলাম রব্বানী
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৩, ০২:১০ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা ও প্রীতি রায় প্রাপ্তী। যমজ এই দুই বোন প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, সব শ্রেণিতে পালাক্রমে প্রথম-দ্বিতীয় হয়েছে। এবার এসএসসি’র ফলাফলে খুলনার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ ডি.জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে দুই বোনই পেয়েছে গোল্ডেন জিপিএ-৫।

তাদের বাবা কৃষ্ণপদ রায় পিঠাভোগ ডি.জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মা লক্ষ্মী মজুমদার একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ এলাকায়।


বিজ্ঞাপন


বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪ বার সুনাম অর্জন করেছে। ওই বিদ্যালয়ের পাশের হার ১০০ শতাংশ এবং তারাসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।

প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা ও প্রীতি রায় প্রাপ্তী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় তারা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। এসএসসিতে দুজন একসাথে জিপিএ-৫ পেয়ে আবারও চমক দেখিয়েছে।

প্রবল ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টায় এসএসসিতে ভালো ফলাফল করেছে তারা। এবার উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ডাক্তার হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চায় তারা।

প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা বলেন, আমাদের ভালো ফলাফলে মা-বাবার পাশাপাশি শিক্ষকরা দারুণ সহায়তা করেছেন। আমরা দুজনই চিকিৎসক হয়ে মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।


বিজ্ঞাপন


প্রীতি রায় প্রাপ্তী বলেন, ভালো ফলাফল করতে হলে মূল বই বেশি বেশি করে পড়ার বিকল্প নেই। ভালো ফলাফল করে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে। চিকিৎসক হয়ে আমরা মানুষের সেবা করতে চাই।

মা লক্ষ্মী মজুমদার বলেন, শিক্ষকতার কারণে ব্যস্ত থাকায় মেয়েদের লেখাপড়ার বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে পারিনি। তারা নিজেদের চেষ্টায় ভালো ফলাফল করেছে, এটাই আমাদের গর্ব।

বাবা কৃষ্ণপদ রায় বলেন, মেয়েদেরকে কখনো পড়ার জন্য বলতে হয়নি। ছোটবেলা থেকেই ওদের লেখাপড়ায় অদম্য আগ্রহ। একে অপরকে খুবই সহযোগিতা করে। তাদের মধ্যে লেখাপড়া ছাড়া অন্য কোনো প্রতিযোগিতা দেখিনি। তারা বিদ্যালয়ে বরাবরই ভালো ফলাফল করেছে। ওদের ভালো ফলাফলে আমাদের বিদ্যালয় গর্বিত।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইরিন পারভিন জানান, ‘যমজ দুই বোন প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা ও প্রীতি রায় প্রাপ্তি খুবই শান্ত, মেধাবী ও কঠোর পরিশ্রমী। তারা শুধু লেখাপড়া নয়, সাংস্কৃতিক বিষয়েও খুব ভালো করে। তাদের দুজনের সাফল্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আমি দোয়া করি তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করুক।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন