সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পুরনো নয় নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এতদিন জেনে আসছেন, পুরনো অ্যানড্রয়েড ভার্সন ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে আছেন। এবার শোনা গেলো নতুন তথ্য। কেবল পুরনো ফোন নয়, নতুন ফোন ব্যবহারকারীও আছেন তথ্য বেহাতের আশঙ্কায়। বিশেষ করে অ্যানড্রয়েড ১২,১৩,১৪ এবং ১৫ ভার্সন ব্যবহারকারীদের ফোন হ্যাকাররা টার্গেট করেছে। 

সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের হাতে যে স্মার্টফোন থাকে, তার অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড। এবার যে খবর এল, তাতে সেই ভরসার জায়গা সামান্য হলেও চিড় ধরেছে বলতেই হবে। সম্প্রতি অ্যানড্রয়েডের একাধিক দুর্বলতার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করতে নতুন পদ্ধতি বের করেছে হ্যাকাররা

সাইবার সিকিউরিটি ফার্মের গবেষণায় বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ত্রুটির কারণে অ্যানড্রয়েড ১২ এবং তার পরবর্তী ভার্সনগুলো প্রভাবিত হয়েছে। তার মানে, অ্যানড্রয়েড ১২, অ্যানড্রয়েড ১৩, অ্যানড্রয়েড ১৪ এবং অ্যানড্রয়েড ১৫ এই ৪ অপারেটিং সিস্টেমই রয়েছে ঝুঁকিতে। এই অভ্যন্তরীণ ত্রুটি অ্যানড্রয়েড কাঠামোয় বা চিপসেটের উপাদানে রয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের বিষয়টিকে স্পষ্ট করে বলছে যে এই ত্রুটির ফলে হ্যাকার ইউজারের গোপনীয় তথ্য তো অ্যাকসেস করতে পারবেই, একই সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করার নানা সুবিধাও পাবে। তারা এর ফলে অপারেটিং সিস্টেমে কোনও কোড সক্রিয় করে দিতে পারে, পরিষেবা অস্বীকার বা ডিডস চালু করে দিতে পারে।

android


বিজ্ঞাপন


বিষয়টাকে হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। কারণ এর ফলে ইউজারের নিরাপত্তা পড়ছে ঝুঁকির মুখে, যার ভিত্তিতে এটিকে সাইবার সিকিউরিটি ফার্মগুলো এটাকে গুরুতর সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করেছে। তবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকে। ইউজারদেরও তাই নিরাপদে থাকার পথ বলে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে প্রথমটি হল নিয়মিত ভাবে নিজেদের অ্যানড্রয়েড ভার্সন আপডেটেড রাখা। যাতে ভুল না হয়, সে জন্য ফোনে অটো আপডেট এনেবল করে রাখা উচিত হবে। দ্বিতীয়ত, কোনও সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা চলবে না, একই সঙ্গে ভেরিফায়েড নয় এমন অ্যাপ ডাউনলোড না করাই উচিত হবে। এক্ষেত্রে অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর, যেমন গুগল প্লে বা অ্যাপল স্টোর থেকেই কেবল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

এর পরেই আসে পাসওয়ার্ডের কথা। অ্যাপল আইডি এবং অন্য সব আইডি-র জন্য ইউনিক, স্ট্রং পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে যাতে তা সহজে ক্র্যাক করা না যায়। রাখতে হবে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনও যাতে কিছু ঘটলে ইউজার সতর্কতার বার্তা পান। ব্যবহার করার সময়ে অ্যাপ পারমিশনগুলো সময়ে সময়ে রিভিউ এবং ম্যানেজ করতে হবে যাতে প্রয়োজনের বাইরে কোনও তথ্য না যায়।

সবশেষে আসে ফিশিং অ্যাটাকের কথা। এমন কোনও প্রম্পট যদি আসে যা গোপন তথ্য চাইছে, তাহলে ভুলেও শেয়ার করা চলবে না। একমাত্র তাহলেই নিরাপদে থাকা যাবে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন