রোববার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ভাবার সময় ছিল না, যা করা দরকার তাই করেছি: তামিমকে সিপিআর দেওয়া ডালিম

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে গিয়ে গতকাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। বিকেএসপির অ্যাকাডেমি মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। পরপর দুবার হার্ট অ্যাটাক হয় বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের। ফলে হৃৎপিন্ড কার্যত কাজ করা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল তামিমের, ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

তামিমকে ঢাকায় উড়িয়ে আনার জন্য নেওয়া হয়েছিল হেলিকপ্টারও। তবে হেলিকপ্টারে নেওয়ার মত অবস্থা ছিল না তার। এদিকে সংকটাপন্ন সেই সময়ে যখন তামিমের হৃৎপিন্ড কার্যত কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে তখন সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে হৃৎস্পন্দন চালু রাখার চেষ্টা করে গেছেন মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম।


বিজ্ঞাপন


অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও সিপিআর দেওয়া চালু রেখেছিলেন মোহামেডানের এই ট্রেনার। তার এই প্রচেষ্টায়ই তামিমের হৃৎপিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

তামিমকে সিপিআর দেওয়ার সেই সিদ্ধান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই জানিয়েছেন মোহামেডানের এই ট্রেনার। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সকালে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে তামিম ইকবাল ভাইয়ের। তিনি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এখন তিনি সুস্থ বোধ করছেন এবং সকালের নাশতা করেছেন। আমার সঙ্গে তাঁর ভাই নাফিস ইকবালেরও কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তামিম ভাইকে কেপিজে হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর বিশেষায়িত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যদি সেখানে স্থানান্তর করা হয়, তাহলে আমি সেখানেই যাব। আজ আর হাসপাতালে আসা হবে না।’

তার সিপিআর দেওয়া চালু রাখার ফলে অ্যাম্বুলেন্সেই তামিমের হৃৎস্পন্দন কিছুটা ফিরে আসে জানিয়ে ডালিম আরও বলেন, ‘যখন তাকে হেলিকপ্টারে তুলতে যাচ্ছিলাম, তখন দেখলাম, অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে তার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। আমি জানতাম সিপিআর কীভাবে দিতে হয়, তাই কোনো চিন্তা না করেই তা দেওয়া শুরু করি। চেষ্টা করেছি তার হার্ট সচল করার। দ্বিতীয় দফায় যখন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখনো অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই সিপিআর দিচ্ছিলাম। হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছাতেই হৃৎস্পন্দন কিছুটা ফিরে আসে। এই মুহূর্তে ভাবার সময় ছিল না, যা করা দরকার সেটিই করেছি।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub