রোববার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

জাকাত দেওয়ার খাতগুলো কী, কখন ফরজ হয়?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জাকাত ফরজ বিধান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি একদিকে অভাবী ও অক্ষম জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার। মুসলমানদের জাকাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত প্রদান করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেন, ‘তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে তারা নিবিষ্ট মনে একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দীন।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৫)


বিজ্ঞাপন


আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎ কাজ করেছে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং জাকাত প্রদান করেছে, তাদের জন্য পুরস্কার তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। তাদের কোনো ভয় নাই এবং তারা দুঃখিত হবে না।’ (সূরা বাকারা: ২৭৭)

কোনো ব্যক্তি যদি জাকাতের এ ফরজিয়্যাতকে অস্বীকার করবে, তার ঈমান থাকবে না। তার মানে, ওই ব্যক্তির ঈমান চলে গেছে। তাকে অতিসত্ত্বর তার ঈমান নবায়ন করে নিতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৩/৩০৯)

জাকাত কী, নিসাব কত?
জাকাতকে বলা হয়েছে গরিবের অধিকার। এটা কোনোক্রমেই গরিবের প্রতি ধনীর দয়া বা অনুগ্রহ নয়। জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ পবিত্র হওয়া, পরিশুদ্ধ হওয়া, বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। জাকাত বলতে ধন-সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দান করাকে বোঝায়। পারিভাষিক অর্থে জাকাত হলো- জীবনযাত্রার অপরিহার্য প্রয়োজন পূরণের পর নিসাব পরিমাণ সম্পদে পূর্ণ এক বছর অতিক্রম করলে ওই সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট অংশ আল্লাহর নির্ধারিত খাতে ব্যয় করাকে জাকাত বলা হয়। জাকাতের নিসাব হলো— ক. সোনা সাড়ে ৭ তোলা বা ৯৫.৭৪৮ গ্রাম প্রায়। খ. রুপা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬৭০.২৪ গ্রাম প্রায়। (আহসানুল ফতোয়া: ৪/৩৯৪; আল ফিকহুল ইসলামি: ২/৬৬৯)

জাকাত দেওয়ার খাত
যাদেরকে জাকাত দেওয়া যাবে তারা আট শ্রেণির। যেমন—এক. গরিব-ফকির দুই. মিসকিন তিন. ইসলামি রাষ্ট্রে জাকাত, সদকা, ওশর ইত্যাদি উসুল করার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি। চার. ইসলামের প্রতি উৎসাহিত করতে জাকাত দেওয়া। তবে এ খাতটি বর্তমানে আর প্রযোজ্য নয়। পাঁচ. নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ দাস-দাসী। ছয়. পর্যাপ্ত পরিমাণ মাল না থাকায় ঋণ পরিশোধে অক্ষম ঋণী ব্যক্তি। সাত. যোদ্ধা, যারা যুদ্ধের অস্ত্র যোগাতে অক্ষম অথবা টাকার কারণে হজের কাজ পূর্ণ করতে অক্ষম বা ইলম হাসিল ও দীনি দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত গরিব মানুষ। আট. সফর অবস্থায় অভাবগ্রস্ত মানুষ। (সুরা তাওবা: ৬০)


বিজ্ঞাপন


যার ওপর জাকাত ফরজ
জাকাত ফরজ হওয়ার শর্তগুলো হলো—
এক. সম্পদের ওপর পূর্ণাঙ্গ মালিকানা থাকতে হবে।
দুই. সম্পদ উৎপাদনক্ষম ও বর্ধনশীল হতে হবে।
তিন. নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে।
চার. সারা বছরের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকলেই শুধু জাকাত ফরজ হবে।
পাঁচ. জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য ঋণমুক্ত হওয়ার পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা শর্ত।
ছয়. কারো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর থাকলেই শুধু ওই সম্পদের ওপর জাকাত দিতে হবে।

অসুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিমের ওপর এবং নাবালেগ শিশু-কিশোরের ওপরও জাকাত ফরজ নয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৬/৪৬১-৪৬২)

পবিত্র কোরআনে জাকাত আদায়ের বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তোমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য জাকাত আদায় করো। অতঃপর তিনি তা দ্বিগুণ করে দেবেন।’ (সুরা রুম: ৩৯)

জাকাত আদায়ে গড়িমসি করলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে, অতঃপর তা দ্বারা তাদের কপালে, পার্শ্বে এবং পিঠে সেঁক দেওয়া হবে। (আর বলা হবে) ‘এটা তা-ই যা তোমরা নিজদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমরা যা জমা করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৫-৩৬)

হাদিসে এসেছে, ‘যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু সে এর জাকাত আদায় করেনি, কেয়ামতের দিন তার সম্পদকে টাক (বিষের তীব্রতার কারণে) মাথাবিশিষ্ট বিষধর সাপের আকৃতি দিয়ে তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার মুখের দুই পাশ কামড়ে ধরে বলবে, আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার জমাকৃত সম্পদ।’ (বুখারি: ১৪০৩)

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ওফাতের পরে কুরাইশরা জাকাত আদায়ে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে আবু বকর (রা.) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। হাদিসে এসেছে—

আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম! যদি তারা একটি মেষ শাবক জাকাত দিতেও অস্বীকৃতি জানায়, যা আল্লাহর রাসুল (স.)-এর কাছে তারা দিত, তাহলে জাকাত না দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই যুদ্ধ করব’। ( বুখারি: ১৪০০, ‘জাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারি (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃ.; মেশকাত হা/১৭৯০)

জাকাতের পরিমাণ ৪০ ভাগের একভাগ
নেসাব পরিমাণ সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ জাকাত আদায় করতে হয়। জাকাত ফরজ হওয়া মালের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ শতকরা আড়াই টাকা জাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে। সামান্য কম হলেও জাকাত আদায় হবে না।
দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও ব্যবসায়িক পণ্যের নিসাব নির্ধারণে সোনা-রুপা হলো পরিমাপক। এক্ষেত্রে ফকির-মিসকিনদের জন্য যেটি বেশি লাভজনক হবে, সেটিকে পরিমাপক হিসেবে গ্রহণ করাই শরিয়তের নির্দেশ। তাই মুদ্রা ও পণ্যের বেলায় বর্তমানে রুপার নিসাবই পরিমাপক হিসেবে গণ্য হবে। যার কাছে সাড়ে ৫২ তোলা সমমূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা বা ব্যবসায়িক পণ্য মজুদ থাকবে, তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা বা হাজারে ২৫ টাকা হারে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কাপড়চোপড় বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিলেও জাকাত আদায় হবে। (আবু দাউদ: ১৫৭২; তিরমিজি: ৬২৩)

যেসব জিনিসের জাকাত দেওয়া ফরজ
সব ধরনের সম্পদ ও সামগ্রীর ওপর জাকাত ফরজ হয় না। শুধু সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসার পণ্যে জাকাত ফরজ হয়।

এক. সোনা-রুপার অলংকার সর্বদা বা কালেভদ্রে ব্যবহৃত হোক কিংবা একেবারেই ব্যবহার না করা হোক— সর্বাবস্থাতেই তার জাকাত দিতে হবে। (আবু দাউদ: ১/২৫৫; নাসায়ি: ২২৫৮; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৫৪-৭০৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৯৯৭৪)

দুই. অলংকার ছাড়া সোনা-রুপার অন্যান্য সামগ্রীর ওপরও জাকাত ফরজ হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৬১; ৭০৬৬; ৭১০২)

তিন. জামা-কাপড় কিংবা অন্য কোনো সামগ্রীতে সোনা-রুপার কারুকাজ করা থাকলে  তা-ও জাকাতের  হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যে পরিমাণ সোনা-রুপা কারুকাজে লেগেছে— অন্যান্য জাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে তারও জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৭০৬৬; ইবনে আবি শায়বা: ১০৬৪৮-১০৬৪৯)

সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর অলংকার ইত্যাদির ওপর জাকাত ফরজ নয়। তদ্রূপ হীরা ও মণি-মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসাপণ্য না হলে সেগুলোতেও জাকাত ফরজ নয়। (কিতাবুল আছার, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৬১-৭০৬৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৬/৪৪৭-৪৪৮)

মৌলিক প্রয়োজন থেকে উদ্বৃত্ত টাকা-পয়সা নিসাব পরিমাণ হলে এবং এক বছর স্থায়ী হলে বছর শেষে তার জাকাত আদায় করা ফরজ হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৯১-৭০৯২)

তদ্রূপ ব্যাংক ব্যালেন্স, ফিক্সড ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেট ইত্যাদিও নগদ টাকা-পয়সার মতোই। এসবের ওপরও জাকাত ফরজ হয়।

চার. টাকা-পয়সা ব্যবসায় না খাটিয়ে এমনি রেখে দিলেও তাতে জাকাত ফরজ হয়। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/২৬৭; রদ্দুল মুহতার: ২/২৬২-৩০০)

পাঁচ. হজের উদ্দেশ্যে কিংবা ঘর-বাড়ি নির্মাণ, ছেলে-মেয়ের বিয়ে-শাদি ইত্যাদি প্রয়োজনের জন্য যে অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে— তা-ও এর ব্যতিক্রম নয়। সঞ্চিত অর্থ পৃথকভাবে কিংবা অন্যান্য জাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিসাব পরিমাণ  হলে এবং নিসাবের ওপর এক বছর অতিবাহিত হলে জাকাত ফরজ হবে। বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তা যদি খরচ হয়ে যায়, তাহলে জাকাত ফরজ হবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৩২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১০৩২৫)

ছয়. দোকান-পাটে যা কিছু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা থাকে তা বাণিজ্য-দ্রব্য। এর মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে জাকাত আদায় করা ফরজ। (সুনানে আবু দাউদ: ১/২১৮; সুনানে কুবরা, বায়হাকি: ৪/১৫৭; মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা-১০৮; মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৭১০৩,৭১০৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১০৫৫৭, ১০৫৬০, ১০৫৬৩)

সাত. ব্যবসার নিয়তে  কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর— যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি— তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে জাকাত দেওয়া ফরজ হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭১০৩-৭১০৪)

আট. নিসাবের অতিরিক্ত সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা ও বাণিজ্যদ্রব্যের জাকাত আনুপাতিক হারে দিতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৩২-৭০৭৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৬/৩৯০; আদ্দুররুল মুখতার: ২/২৯৯)

নয়. কারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্যদ্রব্য পৃথকভাবে বা সম্মিলিতভাবে নিসাব পরিমাণ ছিল, বছরের মাঝে এ জাতীয় আরও কিছু সম্পদ কোনো সূত্রে পাওয়া গেল— তাহলে এক্ষেত্রে নতুন প্রাপ্ত সম্পদ পুরাতন সম্পদের সঙ্গে যোগ হবে এবং পুরাতন সম্পদের বছর পূর্ণ হওয়ার পর সমুদয় সম্পদের জাকাত দিতে হবে। বছরের মাঝে যা যোগ হয়েছে তার জন্য পৃথক বছর পূর্ণ হওয়া লাগবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৬৮৭২, ৭০৪০-৭০৪৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১০৩২৫,১০৩২৭)

দশ. বছরের শুরু ও শেষে নিসাব পূর্ণ থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। মাঝে নিসাব কমে যাওয়া ধর্তব্য নয়। অবশ্য বছরের মাঝে সম্পূর্ণ সম্পদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তবে ওই সময় থেকে নতুন করে বছরের হিসাব আরম্ভ হবে এবং এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭০৪২,৭০৪৪; আদ্দুররুল মুখতার: ২/৩০২)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাকাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত পালনে সাবধান হওয়ার এবং যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন