যেকোনো অনুষ্ঠান বা উপলক্ষে প্রয়োজন পড়ে ফুলের। এই ফুল ব্যবহার করা হয় প্রিয়জনকে খুশি করতে কিংবা ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে। প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে ফুল কিনতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুল কেনার জন্য সবাই ছুটে আসেন রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের ফুল মার্কেটে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর আবারও পুরোদমে মার্কেটের দোকানগুলো খুলেছে। তবে আগের তুলনায় কেনাকাটা এবং ক্রেতা সংখ্যা কম রয়েছে।
সোমবার (৭ মার্চ) শাহবাগের ফুল মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ফুল নিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। টিনের চালা থেকে ঝুলছে রজনীগন্ধা, হলুদ-কমলা-রক্ত গাঁদা ফুলের মালা। সারি বেঁধে স্তুপ করে রাখা ছোট-বড় গোলাপ, বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে সাজানো রয়েছে ফুলের তোড়া। ক্রেতা সংখ্যা খুবই কম। কোনো কোনো দোকান ক্রেতা শূন্য। আর কিছু দোকানে দুই-একজন করে ক্রেতা আসছেন। কেউ আবার দামাদামি করে ফুল না কিনে চলে যাচ্ছেন। বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক কম। দোকানগুলোতে ফুলও কম রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন শিগগিরই পুরোনো রূপে জমে উঠবে কেনাকাটা।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানী কেন্দ্রিক ফুলের বর্তমান বড় বাজার হিসেবে শাহবাগ ও আগারগাঁও ফুলের পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত। সারাদেশের খুচরা বিক্রেতারা রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট ও আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ফুলের পাইকারি মার্কেট থেকে ফুল কিনে থাকেন। বিশেষ করে শাহবাগের পাইকারি বাজারের ফুল রাজধানীসহ সারাদেশে যায়। প্রতিদিন এখানে কেনাবেচা হয় কয়েক লাখ টাকার ফুল। তবে ঈদের ছুটির পর এখনও জমে ওঠেনি ফুলের মার্কেট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু পুরোদমে চালু হলে আবারও আগের মতো জমজমাট হয়ে উঠবে ফুলের মার্কেট।
ফুল ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, ঈদের পর তিনদিন হলো দোকান খুলেছি, এখন ক্রেতা সংখ্যা খুবই কম। কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি থাকবে, তবে শিগগিরই ফুলের বিক্রি বাড়বে। কেননা, রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ফুল কেনার জন্য বারো মাস এখানে ছুটে আসেন। সকাল থেকে রাত অবধি এখানে কেনাকাটা চলে, সে হিসেবে কিছুদিন পর কেনাবেচা জমে উঠবে।
বিজ্ঞাপন
আরেক ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, আমার দোকানে সব ধরনের ফুল পাওয়া যায়। কেউ কেউ খুচরা গোলাপ কিনেন, আবার কেউ ফুলের তোড়া কিনেন নেন। যতটুকু সম্ভব স্বল্পমূল্যে ফুল বিক্রি করছি, ক্রেতারাও কেনাকাটা করে স্বস্তি পান। অনেক দূর থেকেও এখানে ফুল কেনার জন্য মানুষ ছুটে আসেন। ক্রেতাদের নিরাশ করি না।
ফুল ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান বলেন, সারাবছরই ক্রেতা থাকে কম আর বেশি। ঈদের পর বিক্রি কম হচ্ছে। আমার দোকানে গোলাপ, রজনীগন্ধা, অর্কিড, দোলনচাঁপা, পদ্মা, জিনিয়া, ডালিয়া, চাইনিজ গাঁদা, জিপসিসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল রয়েছে। কেউ চাইলে ফুলের তোড়াও নিতে পারে। খুচরাও বিক্রি করছি। ডিজাইন ও আকার ভেদে ৩০০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে ফুলের তোড়া বা ডালা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি গোলাপ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, আর চাইনিজ গোলাপ বিক্রি করছি ৩০-৪০ টাকায়। আর ফুলের মালা বিক্রি করছি ১০০-১৫০ টাকায়। এখানে বিভিন্ন দামের ফুল রয়েছে। আবার বিশেষ দিবস এলে ফুলের দাম বাড়বে।
এসএইচ/এফএ