শহরে এখনও সেভাবে শীতের আমেজ না আসলেও গ্রামের দিকে কিন্তু ভালোই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর শীত আসলেই সর্দি-কাশির পাশাপাশি বেড়ে যায় অ্যালার্জির সমস্যা। এসময় মানুষের দেহে নানা ধরনের ভাইরাস প্রবেশ করে। ধূলিকণা বেশি থাকায় মানুষের শরীরে ব্যাকটেরিয়াও বেশি প্রবেশ করে। যা থেকে অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন শীতকালীন অ্যালার্জিতে ভুগছেন?
বিজ্ঞাপন
ঘন ঘন হাঁচি
গলা খুসখুস করা
নাক দিয়ে পানি পড়া
কানে অস্বস্তি
এগুলো হতে পারে শীতকালীন অ্যালার্জির লক্ষণ। এছাড়া চোখে জ্বালা ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, জ্বর ও ত্বকে সংক্রমণ হলেও সতর্ক হতে হবে।
শীতকালীন অ্যালার্জি ঠেকাতে করণীয়
বিজ্ঞাপন
শীতের পোশাক রোদে দিন
আলমারি থেকে শীতের পোশাক বের করে ব্যবহার করার আগে উলের চাদর, সোয়েটার রোদে রাখা জরুরি। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
খোলামেলা পরিবেশ
বাড়ির ভেতরের পরিবেশ যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ ঢুকতে দিন। কারণ রোদ না ঢুকলে অ্যালার্জি রোগীর সমস্যা আরও বাড়ে। বাড়িতে রাখা কার্পেট, পোষ্যর লোম থেকেও কিন্তু হতে পারে অ্যালার্জি। তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে।
পোকামাকড়ের উপদ্রব যেন না হয়
বাড়িতে যেন কীটপতঙ্গ বা পোকামাকড়ের উপদ্রব না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। রান্নাঘর ও শৌচালয়ের পাইপে ছিদ্র থাকলে তা মেরামত করুন। পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়লে ঘর পরিষ্কার করুন।
ধুলোবালি যেন না থাকে
ঘরের প্রতিটি কোণ খুব ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন, যেন ধুলোবালি না জমে। ধুলার কারণেই অনেকের অ্যালার্জি বাড়ে। তাই ধুলা থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করুন।
মাস্ক ব্যবহার করুন
রাস্তায় বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। অ্যালার্জির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এটি ভীষণ উপকারি সঙ্গী হতে পারে।
এনএম