গাইবান্ধা জেলার লাইসেন্সবিহীন ১৭৯টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৩ অনুযায়ী ১৭৯টি ইটভাটা উচ্ছেদ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি একেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সচিব, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, গাইবান্ধার জেলা প্রসাশকসহ ১৫ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত সপ্তাহে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক। আজ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি আদালত থেকে বেরিয়ে ঢাকা মেইলকে বলেন, এই জেলার কৃষি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবেশ অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে অবৈধ ইটভাটার তথ্য ও তালিকা চেয়ে আবেদন করি। এরপর ১৮ মার্চ পরিবেশ অধিদফতর রংপুর বিভাগীয় অফিস আমাকে লিখিত তথ্য সররাহ করেন।
সেখানে বলা হয়, গাইবান্ধা জেলার আওতাধীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ১৭৯টি। এই তথ্য অনুযায়ী জেলা প্রসাশক বরাবর গত ২ এপ্রিল আবেদন করা হয়। আবেদন অনুসারে গাইবান্ধার জেলা প্রসাশকসহ অন্যান্য অফিস অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তারপর এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এতে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় রিট করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এআইএম/এমএইচএম