মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অবৈধভাবে ১২ বছর সরকারি চাকরি, শেষ রক্ষা হলো না ডা. ফাতেমা দোজার

সাখাওয়াত হোসাইন
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

fatema
সম্প্রতি বরখাস্ত হয়েছেন এই চিকিৎসক। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরির ২৫ বছরের মধ্যে ১২ বছরই অবৈধভাবে কাটিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজা। অবৈধভাবে ভোগ করেছেন বেতন-ভাতা, পদোন্নতিও নিয়েছেন তিনি। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ফৌজদারি মামলায় কারাবাসের তথ্য গোপন, স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেড় বছর পর আবার একই হাসপাতালে যোগদান, বিদেশে সেমিনারে যোগদানের ভুয়া আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ ইত্যাদি নানা অনিয়ম ও অসদাচরণ অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না ডা. ফাতেমা দোজার। নানা অভিযোগে সম্প্রতি তাকে চাকরিচ্যুত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে বরখাস্তের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। ডা. ফাতেমা দোজাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সম্মতি জানায় এবং রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে এই প্রস্তাব অনুমোদন করেন।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, ফাতেমা দোজা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৭ সালে তিনি রেডিওলোজিস্ট পদে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে যোগ দেন। পরে ২০০৯ সালে একই প্রতিষ্ঠানে ডা. ফাতেমা দোজা (পরিচিতি নম্বর-৪২৭৩৭) মেডিকেল অফিসার পদে যোগ দেন। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ডা. ফাতেমা দোজা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬ মাসের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লিখিত পদে যোগদানের লক্ষ্যে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতির জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন দাখিল করেন ডা. ফাতেমা।

এদিকে নির্ধারিত মেয়াদের পরও বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তার চাকরি স্থায়ী করেনি। যার সত্যতা পাওয়া যায় জাতীয় হদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিঠিপত্র গ্রহণ এবং বিতরণের ডায়েরির খাতায়।

ডা. ফাতেমা দোজার সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতির আবেদন ডায়েরি খাতায় যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। আবেদনটি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং- এনআইসিভিডি/পার-২/৯৫৪। স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার এক বছর ছয় মাস পরে জাল-জালিয়াতি এবং তদবিরের মাধ্যমে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি গোপন করেন অভিযুক্ত ডা. ফাতেমা।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

‘জুনিয়র কনসালটেন্ট’ পদবি নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা

‘একসঙ্গে এত বাচ্চার চিকিৎসা আগে হয়নি, চিকিৎসকরাও সেদিন কেঁদেছেন’

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিতির হাজিরা খাতা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির থেকে ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডা. ফাতেমা দোজার কর্মস্থলে উপস্থিতির হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই। অর্থাৎ ওই সময়ে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন না। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারের কার্যালয়ের তথ্যে দেখা যায়, ডা. ফাতেমা দোজা ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ১১ জুন পর্যন্ত কোনো বেতন-ভাতা উত্তোলন করেনি। অর্থাৎ তিনি ওই সময়ে চাকরিতে ছিলেন না, তাই তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করেননি। এমনকি একই সময়ে অনুপস্থিত থাকায় কোথাও লিয়েন বা কোনো ধরনের ছুটিতে ছিলেন না। এরপর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত দেখিয়ে ২০১৩ সালের ১০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। একই হাসপাতালে ২০১৩ সালের ১৩ জুন যোগদান করেন। যোগদানের পর ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে পরদিনই একই হাসপাতালে যোগদান করেন।

Fatema2
নানা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রচলিত বিধি মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার জন্য কেউ একবার আবেদন করলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে গৃহীত বা মঞ্জুর হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। তিনি আর অব্যাহতির আবেদনটি ফিরিয়ে নিতে পারেন না। ডা. ফাতেমা দোজা চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে একের পর এক পদোন্নতি ও বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন, যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমন্ত্রণপত্র জালিয়াতি

ডা. ফাতেমা দোজা ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমেরিকার শিকাগোতে অনুষ্ঠেয় রেডিওলজি সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার (আরএসএনএ) ১০৮তম বার্ষিক সয়া ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে দাখিল করেন। দাখিলকৃত আমন্ত্রণপত্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে আমন্ত্রণপত্রের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আয়োজক সংস্থা আরএসএনের কাছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইমেইল প্রেরণ করে সংশ্লিষ্ট দফতর। উত্তরে আয়োজক সংস্থা জানায়, সম্মেলনে অংশগ্রহণের যাবতীয় ব্যয়ভারের বিষয়টি ডা. ফাতেমা দোজা পরিবর্তন করেছেন।

এ ধরনের জালিয়াতির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে তাকে মন্ত্রণালয়কে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শান্তিযোগ্য অপরাধ করার কারণে বিভাগীয় কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। এর কোনো জবাব না দেওয়ায় ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ পুনরায় তাকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য তাগিদপত্র দেওয়া হয়। এরপরও তিনি কোনো জবাব দাখিল করেননি।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে এসে সার্জারি শিখছেন মালয়েশিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক!

আহতদের কাছে ‘জিম্মি’ চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, আতঙ্কে চিকিৎসক-নার্সরা

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডা. ফাতেমা দোজা ‘বাংলাদেশ রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং সোসাইটি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। এমন পদে থেকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং কার্যক্রমকে বিতর্কিত করেছেন।

ওই সময়ে সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এমন কোনো ঘটনার কথা এখনো শোনেননি। বিষয়টি হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। যা শুনলাম এমনটা হয়ে থাকলে তিনি ঠিক করেননি। আর ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

কারাবাসের তথ্য গোপন

নীলফামারীর জলঢাকার বিন্নাকুড়ি গ্রামের ১০ বছরের গৃহকর্মী মোস্তাকিনাকে গরম ইস্ত্রি দিয়ে পুড়িয়ে গুরুতর জখমের অপরাধে ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৪(২) ধারায় ২০০৪ সালের মে মাসে রমনা থানার তৎকালীন এসআই মো. আবদুল্লাহেল বাকী বাদী হয়ে মামলা করেন। যার মামলা নং ৪(৫) ২০০৪। এ ঘটনায় ঢাকাস্থ পরিবাগের ২/১০ হাবিবুল্লাহ রোডে চতুর্থ তলার বাসা থেকে ২০০৪ সালের ২ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ডা. ফাতেমা দোজাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরদিন ৩ মে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলী রেজা তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। চিকিৎসক কর্তৃক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ওই সময় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মামলার ১নং আসামি ডা. ফাতেমা দোজা গ্রেফতার হওয়ার পর ১৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এক পত্রে ২ মে থেকে তার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়টি অবহিত করেন।

জানা গেছে, ডা. ফাতেমা দোজা ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি গোপন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩ কর্তৃক ২১ অক্টোবর ২০০৪ অব্যাহতিপ্রাপ্ত হয়েছেন) সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী গ্রেফতারের দিন থেকে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির তারিখ ২১ অক্টোবর ২০০৪ পর্যন্ত চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত থেকে খোরপোষ ভাতা প্রাপ্ত হওয়ার বিধান থাকলেও তিনি সাময়িক বরখাস্ত হননি। সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চাকরি বিধিমালা ভঙ্গ করে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসের তথ্য গোপন করে ডা. ফাতেমা দোজা গত ২০ বছরে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত আছেন।

বিভাগীয় মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা

বিভাগীয় মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডা. ফাতেমা দোজাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের দায়ে অভিযুক্ত করে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো যথোপযুক্ত দণ্ড দেওয়ার নোটিশ দিয়ে ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় মামলা (মামলা নম্বর ৪২/২০২৩) দায়ের করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের শৃঙ্খলা অধিশাখা। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব এবং ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

Hospital
সবশেষ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন এই চিকিৎসক। ছবি: সংগৃহীত

ডা. ফাতেমা দোজা ওই নোটিশের জবাব না দেওয়ায় বিভাগীয় মামলার পরবর্তী ধাপ হিসেবে গত বছরের ১০ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব আনোয়ার হোসাইন আকন্দ গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে আনীত প্রতিটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৭(৯) মোতাবেক বিধিমালা ৪ (৩) (ঘ) অনুযায়ী গুরুদণ্ডস্বরূপ কেন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না, তার দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

আরও পড়ুন

সুফল মিলছে না দেড় হাজার কোটি টাকার বিশ্বমানের হাসপাতালটির

নতুন সিদ্ধান্তে ধুঁকতে থাকা রেলওয়ের ১০ হাসপাতালে আস্থা ফিরবে কি?

সে মোতাবেক ডা. ফাতেমা দোজা নোটিশের জবাব দিলে তা সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় গুরুদণ্ডস্বরূপ চাকরি থেকে বরখাস্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য ডা. ফাতেমা দোজার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করা এবং ম্যাসেজ পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘যারা নানা অনিয়মে জড়িত ছিল তাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠাচ্ছি। সিস্টেমের কারণে ব্যবস্থা নিতে দেরি হচ্ছে। যারাই অনিয়মে জড়িত, খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’

এসএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর