বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়নে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ইতিবাচক ধারায় দেশের রিজার্ভ। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ। সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ১৪০ কোটি ডলার। যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

রোববার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

এর আগে সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৯০ কোটি ডলার।

তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠা‌নিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

আরও পড়ুন

এমএলএম’র প্রতারণা: সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

বাংলাদেশ ব্যাংকে কমল নগদ জমা সংরক্ষণের হার

সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে বাড়ছে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসের পুরো সময়ে আড়াই বিলিয়ন (২.৫৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছে। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়া‌রির ১৫ তা‌রিখ পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৭২৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub