আর্সেনালের সেট পিসের দক্ষতা নিয়ে ম্যাচের আগেই দলকে সতর্ক করেছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। শেষ পর্যন্ত সেই সেট পিসই কাল হয়ে দাঁড়াল রিয়াল মাদ্রিদের। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে এমিরেটসে ডেকলান রাইসের দুর্দান্ত দুই ফ্রি কিকে রিয়ালকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখল কখনোই চ্যাম্পিয়নস লিগ না জেতা আর্সেনাল।
ম্যাচের ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ঠিকঠাকই চলছিল রিয়াল মাদ্রিদের। এরপর দৃশ্যপটে এলেন ডেকলান রাইস, তার দুর্দান্ত দুই ফ্রি-কিক অতিথিদের দেয় জোড়া ধাক্কা। পরে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। মিকেল মেরিনো রিয়ালের জালে আরেকবার বল জড়ালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টারের প্রথম লেগে বড় হার নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে ফিরছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
বিজ্ঞাপন
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ থেকে ৭৫, গানারদের ১৭ মিনিটের ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় মাদ্রিদিস্তারা। ডেকলান রাইসের দুই গোলের সাথে মেরিনোর গোল সর্বোচ্চবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের দাপুটে এক হার দেখায়।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে লড়াই করে গোল পায়নি রিয়াল। সুযোগ হাতছাড়া করেছেন কাইলিয়ান এমবাপে। বিরতির পর ২৮ বর্ষী রাইস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গড়েন ইতিহাস। ফ্রি-কিকে দুটি গোল আনেন।
আর্সেনাল ও ওয়েস্ট হ্যাম ক্যারিয়ারে সাড়ে তিনশর কাছে ম্যাচ খেলে এই প্রথম সরাসরি ফ্রি-কিকে গোলের দেখা পেলেন রাইস। সেটিও পরপর দুবার, একই ম্যাচে। তাতে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে দুটি গোল করা প্রথম খেলোয়াড় এখন।
রাইস প্রথম গোলটি করেন ৫৮ মিনিটে। বিপজ্জনক জায়গায় আর্সেনাল ফ্রি-কিক পায় রিয়াল স্বাগতিকদের বুকায়ো সাকাকে ফাউল করায়। প্রথম ফাউলটি করেন আলাবা। রাইসের পরের গোলটি ৭০ মিনিটে, এবারও সাকাকে ফাউল করে রিয়াল, এবার করেন কামাভিঙ্গা। আর ৭৫ মিনিটে মেরিনোর গোলটি আসে লুইস-স্কেলির সহযোগিতায়।
বিজ্ঞাপন
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে রিয়ালের হারের হতাশা বাড়িয়েছে কামাভিঙ্গার লাল কার্ড। তিনি ৬৯ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন, দুই হলুদ কার্ডে লাল হয়ে যান ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার মুহূর্তে।
আগামী ১৬ এপ্রিল ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোয়ার্টারের দ্বিতীয় লেগে বড় পরীক্ষা এখন রিয়ালের। সেমিফাইনাল নিশ্চিতে সেখানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট গানাররা সুবিধাজনক জায়গায় থেকেই নামবে।