দৈনিক ভোরের পাতা ও ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, দৈনিক পত্রদূত ও এজেড নিউজ বিডি'র প্রতিনিধি হোসেন আলী, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান ও দৈনিক কালের চিত্রের প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাসের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কালিগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২ টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করাসহ সমাজের অনিয়ম তুলে ধরায় সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। তেমনি সাতক্ষীরা তালা সদরের আটারই গ্রামে বিএসটিআই কতৃক কোনো নিবন্ধন ছাড়া গড়ে উঠেছে শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি সেমাই কারখানা। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই প্রস্তুত করে সেমাইয়ের প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআইয়ের ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে সেমাই বাজারজাত করছিল কারখানাটি। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই হয়রানিমূলক চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সারাদেশে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার যে অপচেষ্টা চলছে তারই ধারবাহিকতায় এই মামলার সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। আমরা মামলাটি সঠিক তদন্তের দাবি করছি সেই সঙ্গে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা।
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্যে দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম মমতাজ হোসেন, আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রউফ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি বাবলা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এস.এম আহম্মাদ উল্লাহ বাচ্ছু, দপ্তর সম্পাদক মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ কাজী মুজাহিদুল ইসলাম তরুন, নির্বাহী সদস্য শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সদস্য আশেক মেহেদী, ইশারাত আলী, শিমুল হোসেন, শেখ আতিকুর রহমান, এস. এম নাসির উদ্দীন, ডা. শেখ শরিফুল ইসলাম, শেখ আল নুর আহমেদ ঈমন, তাপস কুমার ঘোষ, অজিবার রহমান, মনিমালা গায়েন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, কারখানাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (২৯ মার্চ) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার ম্যানেজার জহর আলী সরদার ওরফে ইঞ্জিনভ্যান জহর বাদী হয়ে ৫ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করেন। এই বিষয়ে ঢাকা পোস্টের রিপোর্টার সোহাগ হোসেন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেননি। কিংবা কখনও ওই প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষের সঙ্গে কোনো প্রকার কথা হয়নি। সংবাদ প্রকাশ না করেও মামলার শিকার হয়েছেন তিনিও। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস