শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের ওপর হামলা করে ঘর-বাড়ি লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আকবর সিকদার নামে একজনকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ সিকদার ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
লুটপাটের ঘটনাটি বুধবার ভোরে উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের মধ্য ঢালীকান্দি এলাকায় ঘটেছে। এর আগে গত সোমবার সকালে তাদের ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ সিকদার বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন - চরভাগা ইউনিয়নের মধ্য ঢালীকান্দি গ্রামের মৃত হজরত আলী সিকদারের ছেলে জব্বার সিকদার (৪৫),আকবর সিকদার (৪২),খালেক সিকদার (৬০), খালেক সিকদারের ছেলে আফজাল সিকদার (৩৭), তৈয়ব আলী সিকদার (৪০), জব্বার সিকদারের ছেলে সাকিব সিকদার(২১), সালমান সিকদার (১৯), কুলসুম বেগম, মাহমুদা বেগম ও নাবিলা সিকদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের মধ্য ঢালীকান্দি এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ সিকদারের সঙ্গে প্রতিবেশী জব্বার সিকদারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রশিদ সিকদারের ছেলেরা বাড়িতে এলে, তিনি গত রোববার বিকেলে তাদের ফসলি জমি মাপজোখ করতে যান। সেখানে জব্বার সিকদার তাদের বাধা দেন। এ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সে সময় ঘটনাটি রশিদের সন্তানরা পুলিশকে জানান। গত রোববার রাতে সখীপুর থানার পুলিশ বিষয়টির খোঁজ নিতে ওই এলাকায় যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন জব্বার সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা। এর জের ধরে সোমবার সকালে জব্বার সিকদার তার লোকজন নিয়ে রশিদ ও তার ছেলেদের ওপর হামলা করেন। পরে রশিদ সিকদারকে তার সন্তানরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতেল আনেন চিকিৎসা করানোর জন্য। সেখানে রশিদ ও তার ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রশিদ সিকদারকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। হামলায় আহত জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ভোরে আবারও ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, এক মুক্তিযোদ্ধার জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ