গাইবান্ধার সদর উপজেলায় একটি চল্লিশা অনুষ্ঠানে আটার ডাল খেয়ে শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে বেডে দেখা গেছে ওইসব রোগীদের। এছাড়া বিভিন্ন হাসাপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
স্বজনেরা জানান, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইতপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মায়ের চল্লিশা অনুষ্ঠান হয়। সেখানে দাওয়াত খেতে এলাকার হাজারও মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানে আটার ডাল খেয়ে রোববার দিবাগত রাত থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন। অসুস্থ হওয়া রোগীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল, ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা হাসপাতাল ও ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ১৮৯ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫১ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৫ জন চিকিৎসা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা আকতারসহ অনেকে বলেন, বেলালের বাড়িতে আটার ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার পর কারও মধ্যরাত থেকে ডায়রিয়া, বমি শুরু হয়। আবার কারও সকাল, দুপুর থেকে শুরু হয়।
ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান বলেন, মজলিসের আটার ডাল খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আরিফা খানম বলেন, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় কারণে অসুস্থ হয়ে তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল সোমবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রোগীরা আসছেন। সবাইকে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস