রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বগুড়ার গাবতলি-সোনাতলা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে

পারভীন লুনা, বগুড়া
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বগুড়ার গাবতলী-সোনাতলা সড়কটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাকা সড়কটি গত আড়াই বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

এই সড়কটির ছয় কিলোমিটার অংশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। দেখে মনে হবে না এটি কোনো পাকা সড়ক। কাদা মাটি আর পানিতে জরাজীর্ণ অবস্থা সড়কটির। এ অবস্থায় সড়কে চলাচলকারী লোকজনদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে খানাখন্দ সৃষ্টির জন্য অতিরিক্ত বালু বোঝাই ট্রাক চলাচলকে দায়ী করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী উপজেলার  নাড়ুয়ামালা থেকে সুখানপুকুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার অংশে সড়কে অংসখ্য গর্ত এবং ছোট বড় খানাখন্দের মধ্যেই ভ্যান, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। পুর্ব বগুড়ার এই সড়কটিতে বড় যানবাহন চলাচল একেবারই কম। ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে খানাখন্দের কারণে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগছে অন্য দিকে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে যশোরে কৃষি বিপর্যয়

নাড়ুমালা গ্রামের ভ্যানচালক আতাউর রহমান বলেন, অতিরিক্ত বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভ্যান রিকশা চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।

Messenger_creation_E459CD8D-ED74-4DEF-917C-269ED06FCD83


বিজ্ঞাপন


চড়পাড়া গ্রামের আব্বাস আলী বলেন, বৃষ্টি হলে খানাখন্দে পানি জমে থাকে কয়েকদিন ধরে। এ অবস্থায় এই সড়কে পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম জানান, পুর্ববগুড়ার এই সড়কে পাঁচ শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। ছয় কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগের শেষ নাই।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের অধিদফতরের অধীনের এই সড়কটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে সর্বশেষ সংস্কার করা হয়। ২০২২ সাল থেকে সড়কটির কাপেটিং উঠে যেতে শুরু হয়। এরপর গত আড়াই বছরে ১৩ কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হতে থাকে। এর মধ্যে নাড়ুয়ামালা থেকে সুখানপুকুর ৬ কিলোমিটার অংশ সবচেয়ে বেশি খারাপ।

এবিষয়ে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাস বলের, এই সড়কটিতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা অনেক আগেই সড়কটি সংস্কারের জন্য ১৬ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ ধরে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ না আসায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন