বগুড়ার গাবতলীতে মোবাশ্বের হোসেন (১২) নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের জ্যাঠাতো ভাই নাবিল আহম্মেদকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
মোবাশ্বের হোসেন নাড়ুয়ামালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
গবাতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোবাশ্বের হোসেনের হার্টে ছিদ্র থাকায় কয়েকদিন আগে অপারেশন করে আনা হয়। একারণে মোবাশ্বের বাড়ি থেকে বের হতো না।
সোমবার মোবাশ্বের বিছানায় শুয়ে তার জ্যাঠাতো ভাইয়ের মোবাইল ফোন নিয়ে খেলছিল। না বলে ফোন নেয়ার কারণে তার জ্যাঠাতো ভাই নাবিল আহম্মেদ মোবাশ্বেরকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
তিনি বলেন, নাবিল আহম্মেদও মানসিক রোগী। সে ওই বাড়িতেই থাকে। ঘটনার পর পালিয়ে না গিয়ে বাড়িতেই ঘোরাঘুরি করছিল। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় নাবিলকে পুলিশের সামনেই ছিল। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল বলেন, স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছে নাবিল দীর্ঘদিনের মানসিক রোগী। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নাবিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয়নি।
প্রতিনিধি/এসএস