জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক ছাত্রলীগ নেতার রেস্টুরেন্টের আড়ালে দেহ ব্যাবসা পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করেছে।
সরিষাবাড়ি পৌর এলাকার বাউসী পপুলার মোড় ক্যাভিয়ার রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
তবে রেস্টুরেন্ট মালিক ফজলে রাব্বি ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করে সরিষাবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে ক্যাভিয়ার রেস্টুরেন্টে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় ওই যুগলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় সৈকত নামে এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারীকেও আটক করা হয়।
রেস্টুরেন্ট মালিক ফজলে রাব্বি কৌশলে পালিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিদেশি দু’টি খালি মদের বোতল ও গাঁজা সেবনের একটি কাটার উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্যাভিয়ার রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফাঁকে রেস্টুরেন্টের মালিক ফজলে রাব্বি কৌশলে নারী ও বিভিন্ন মাদকের কারবার করে আসছে।
বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে প্রশাসনকে অবগত করে। প্রশাসন বিষয়টি নজরে রেখে আজ বিকেলে গোপন সংবাদে বন্ধ রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে এই যুগলকে আটক করে।
রেস্টুরেন্ট মালিক ফজলে রাব্বি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে সরিষাবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসাইন শিবলু বলেন, রেস্টুরেন্ট মালিক ফজলে রাব্বি কোনদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই। এমনিতে সে ছাত্রলীগের কোনো কর্মীও না।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, ছেলে-মেয়ে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ক্যাভিয়ার রেস্টুরেন্টের প্রতি পুলিশি নজরদারি রয়েছে। যাতে করে তারা পরবর্তীতে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ আর না ঘটাতে পারে।
প্রতিনিধি/এসএস