রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

গুদামের চাবি নিয়ে উধাও খাদ্য কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০২৪, ১২:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ছুটি না নিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামের চাবি নিয়ে উধাও হওয়াসহ সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক নারী খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

ওই নারী কর্মকর্তার নাম আনোয়ারা বেগম। তিনি ঘোড়াঘাট পালশা ইউনিয়নের ডুগডুগি সরকারি গুদামে কর্মরত।


বিজ্ঞাপন


এ দিকে খাদ্য গুদাম তালাবদ্ধ করে কর্মস্থলে না আসার বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওই নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস।

আরও পড়ুন

নকল স্যালাইন তৈরি চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার (২ মে) সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোহন আহম্মেদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান উপস্থিতে তালা ভেঙে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের ডুগডুগি সরকারি গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, আনোয়ারা বেগম ডুগডুগি সরকারি গুদামে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত আছেন। আর দুই মাস পর অবসরে যাওয়ার কথা। এখানে রায়হান নামে আরেক খাদ্য কর্মকর্তার পদায়ন হওয়ায় নতুন কর্মকর্তাকে গোডাউনের বিভিন্ন জিনিস বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই গত ২৫ এপ্রিল থেকে অফিসে আসা বন্ধ করেন। পরে কোনো যোগাযোগ না করে আত্মগোপনে চলে যান।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন 

‘ভোট নরমালে যদি না হয় তাহলে সিজার করব’

নারী খাদ্য কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডল বলেন, ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে না আসায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। তার আগে অনেকবার ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার বাসা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। কিন্তু তার কোনো সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সরকারি মালামাল আত্মসাৎ করে পলাতক আছেন। তবে কি পরিমাণ গড়মিল আছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

মিল্টনের আশ্রমে সুনসান নিরবতা

তদন্ত কমিটির প্রধান ও জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদ বলেন, ঘটনা তদন্তে এসে আমরা গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুপস্থিত পেয়েছি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। গুদামে রেজিস্টার ও মজুদ থাকা চালের হিসাব মিলিয়ে দেখতে কয়েকদিন সময় লাগবে। কোনো ধরনের গরমিল পাওয়া গেলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন