ব্যাংকের তালা ভেঙে চুরি হওয়া টাকা ও মোটরসাইকেল এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে জেলা পুলিশ বলছে ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই উদঘাটন হয়ে যাবে।
গত ৮ জানুয়ারি রাতে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর বন্দরে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিসে চুরি হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে সুখানপুকুর শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল বাছেদ বলেন, রাত ২টা পর্যন্ত নৈশ প্রহরী বুলু মিয়া জেগে ছিলেন। তিনি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর গ্রিল ও তালা কেটে দুর্বৃত্তরা ব্যাংক ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা নিচতলায় ব্যাংক কর্মীদের রাখা ৬টি মোটরসাইকেলের মধ্যে ২টি মোটরসাইকেল ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকের প্রধান গেটের তালা কেটে বের হয়ে যায়।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা যায়নি।
অপরদিকে গত ২৬ জানুয়ারি রাতে বগুড়া শহরতলীর পল্লীমঙ্গল বাজারে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখায় চুরির ঘটনা ঘটে। উপশাখার ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম বলেন, দোতলা ভবনের নিচতলায় দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলে। তবে এই শাখায় কোনো নৈশ প্রহরী নেই। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্যাংকের সিন্দুকে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ টাকা রেখে যাওয়া হয়। শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা সিঁড়ি ঘরের দেওয়াল ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর ব্যাংকের প্রধান গেটের তালার ক্লাম কেটে ভেতরে প্রবেশ করে সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে কাজ চলছে।
বিজ্ঞাপন
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, দু’টি ব্যাংকের শাখায় চুরির ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই জড়িতদের গ্রেফতার করা যাবে।
প্রতিনিধি/এসএস