বগুড়ার গাবতলীতে ভ্যানচালক মহিদুল হত্যার ২২ বছর পর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (১৩ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সাইদুল, ফুটু ও জাহিদুল। তারা সবাই গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের দেবোত্তর পাড়ার বাসিন্দা। এদের মধ্যে সাইদুল পলাতক আছেন।
খুন হওয়া ভ্যানচালক হলেন পূর্ব মহিষাবানের উত্তরপাড়ার আকবর আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম।
২০০০ সালের ৭ নভেম্বর তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আসামিরা ভ্যান ছিনতাই করেন। পরের দিন পাশের বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের ধোপাগাড়ী এলাকায় মহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিনই নিহতের বাবা আকবর আলী তিনজনের নাম উল্লেখ করে গাবতলী থানায় মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি জানান, আসামিরা ভ্যানচালক মহিদুলের পূর্ব পরিচিত। তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে মহিদুলের ভ্যান ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিল হত্যার দিন। পরে সুযোগ বুঝে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ধোপাগাড়ী এলাকায় মহিদুলের মরদেহ ফেলে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় ওই তিনজন।
বিজ্ঞাপন
নাছিমুল করিম আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকে সাইদুল পলাতক রয়েছে। আর বাকি দুজন গ্রেফতার ছিলেন। এরমধ্যে জাহিদুল গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ফুটু অনেকদিন ধরে জামিনে ছিলেন, রায় ঘোষণার জন্য আজ আদালতে হাজির হন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শুনানির পর রোববার বিচারক হাবিবা মণ্ডল তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে রায় দেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড ঘোষণা করেছেন বিচারক। রায় ঘোষণা পর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রতিনিধি/এসএস