রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

লৌহজংয়ে পুকুর থেকে দুই মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৬ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পুকুরে ডুবে মাদরাসা ছাত্রী দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের কুমারভোগ গ্রামে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই বান্ধবীর মৃত্যু হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয়রা শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত শিশু দুইজন একই গ্রামের শাহ আলম মৃধার কন্যা চাঁদনী (১০) ও জাহিদ শিকদারের কন্যা মরিয়ম (১১)। তারা দুইজন মৌছা আমেনা হাকিম দাখিল মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৌছা আমেনা হাকিম দাখিল মাদরাসায় যায় নিহত চাঁদনী ও মরিয়ম। সারাদিন ক্লাস শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসা থেকে বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে ৬টার দিকে বাড়ির পাশে থাকা একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। বাসায় না ফিরে আসায় পরিবারের সদস্যরা ডাক দিতে যায় পুকুর পাড়ে। পরে চাঁদনী নামের শিশুর লাশটি পানিতে ভেসে থাকতে দেখে তারা। এরপর পুকুরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে মরিয়মের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মরিয়মের মা সুমি বলেন, বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসা থেকে আসার পরে আমার মেয়েকে ভাত দিলাম। ভাত খেয়ে বলল- মা আমি গোসল করতে যাই। আমি ভাবলাম গোসলখানায় গোসল করবে। আমার ছোট ছেলেকে টিউশন মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়তে দিতে গেলাম, এসে দেখি মরিয়ম নাই। এর প্রায় আধঘণ্টা পরে খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে দেখি পুকুর পাড়ে চাঁদনীর মরদেহটি ভেসে আছে। এর আগে চাঁদনী আমাদের বাসায় আসছিল, তাই ধারণা করলাম আমার মেয়েও গোসল করতে গেছে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে পুকুর থেকে আমার মেয়ের মরদেহটি উদ্ধার করলাম।

নিহত চাঁদনীর ভাই সামিউল আলম বলেন, সকালে আমি মাদরাসায় যাব না, তাই বললাম বোন তোরও মাদরাসায় যেতে হবে না। ও বললো না আজকে মাদরাসায় প্রতিযোগিতা আছে। তাই মাদরাসায় গেল। বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া করে কোথায় গেল দেখলামও না। এরপর হঠাৎ শুনি পুকুর পাড়ে বোনের লাশ।

নিহত মরিয়মের মামা শাহীন শেখ জানান, আজকে হঠাৎ করে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছে। ও কখনও একা পুকুরে গোসল করতে যায় না। যদিও সাঁতার জানে। সাঁতার জানার পরেও কীভাবে কী হলো বুঝলাম না।


বিজ্ঞাপন


মৌছা আমেনা হাকিম দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. মোস্তফা কামাল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনী ও মরিয়ম। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। দুজনই নম্র ভদ্র। আমরা শোকাহত। আল্লাহ ওদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন বলেন, আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন