images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আফগানিস্তান না এলে ঢাকায় এসিসির বার্ষিক সভা স্থগিত

স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০২৫, ১১:২৪ এএম

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শুরুতে এটিকে কেবল একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন হিসেবে দেখলেও বাস্তবে বিষয়টি জটিল কূটনৈতিক রূপ নিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট রাজনীতির টানাপোড়েনের কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ।

ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতে, বিসিবি পাকিস্তানের প্রতি পক্ষপাত দেখাচ্ছে, যা এসিসিতে ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এই অবস্থান ভারতের অসন্তোষ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিসিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন- ‘দর্শকরা যেই অর্থ খরচ করেছেন, তা সার্থক হয়েছে’

আরও পড়ুন-‘সবাই আলোচনা করেই ভারতীয়দের পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’

এসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এজিএম আয়োজনে টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশের মধ্যে অন্তত তিনটি ও সহযোগী ১০ দেশের প্রতিনিধি থাকতে হয়। তবে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান সভা বয়কটের ঘোষণা দেওয়ায় কোরাম নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিসিবি ও পাকিস্তান মিলে আফগানিস্তানকে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্র বলছে, আফগানিস্তান মৌখিকভাবে সভায় যোগদানের ইঙ্গিত দিলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

আরও পড়ুন-‘ভারত যা করেছে, পাকিস্তান তা ভুলবে না’

বিসিবির অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, অতিথিদের আতিথেয়তা ও সভাস্থলের ব্যবস্থাই শুধু বিসিবির দায়িত্ব। তবে, এসিসি সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান আশরাফ নাকভিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত বিসিবির জন্য ভবিষ্যতে কূটনৈতিক চাপের কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন-বাংলাদেশ ২০২৬ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে: তামিম ইকবাল 

এরই মধ্যে এশিয়ার ২৭টি সদস্য দেশের মধ্যে অন্তত ১৯টি দেশ সভায় অংশগ্রহণে সম্মতি জানিয়েছে। পিসিবির প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) সালমান নাসিম ঢাকায় পৌঁছেছেন, আজ যোগ দেবেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাকভিও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসার অনুমোদন দিয়েছে।

আরও পড়ুন-বিদায়ী ম্যাচেও বিধ্বংসী রাসেল, পেলেন গার্ড অফ অনার

তবে নেপাল, ওমান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা সভায় অনুপস্থিত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, এসিসির ইতিহাসে এবারই প্রথম এমন বড় ধরনের বিভাজন দেখা যাচ্ছে। বিসিবিও স্বীকার করেছে, এতটা সংকটময় পরিস্থিতিতে এর আগে কখনও পড়তে হয়নি।