সিরিজ হারের হতাশা থাকলেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের দুর্দান্ত লড়াইয়ে সন্তুষ্ট দলের অধিনায়ক সালমান আলি আগা। মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সফরকারীরা। সেখান থেকে ব্যাট হাতে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফেরান ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি এবং অভিষিক্ত পেসার আহমেদ দানিয়াল।
আরও পড়ুন-‘সবাই আলোচনা করেই ভারতীয়দের পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-‘ভারত যা করেছে, পাকিস্তান তা ভুলবে না’
৪৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রায় হার নিশ্চিত জেনেও পাকিস্তান লড়াই চালিয়ে যায়। অষ্টম উইকেটে ফাহিম ও আফ্রিদি ২৭ বলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। আফ্রিদি ১৩ বলে ১৯ রান করে আউট হলেও থামেননি ফাহিম। এরপর নবম উইকেটে দানিয়ালের সঙ্গে আরও ৩৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের সম্ভাবনায় নিয়ে যান তিনি।
শেষ ৭ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩ রান। ঠিক তখনই মুস্তাফিজুর রহমানের করা ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন ফাহিম আশরাফ। তার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই ধাক্কা খায় পাকিস্তানের জয়ের আশা। শেষ ব্যাটার সালমান মিরাজ মাঠে নামলে অপর প্রান্তে ছিলেন অপরাজিত দানিয়াল। মুস্তাফিজের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে উত্তেজনা ফেরান দানিয়াল। তবে পরের বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিড উইকেট বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন এই তরুণ। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ১৯.২ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে ৮ রানে হার মানে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ ২০২৬ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে: তামিম ইকবাল
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-বিদায়ী ম্যাচেও বিধ্বংসী রাসেল, পেলেন গার্ড অফ অনার
খেলা শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলি আগা বলেন,‘১৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর যেভাবে ফাহিম আশরাফ খেলেছে, তা এক কথায় অসাধারণ। ম্যাচটিকে প্রায় টাইগারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিল সে। আব্বাস আফ্রিদি ও দানিয়ালের লড়াইটাও প্রশংসনীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচে হেরেছি ঠিকই, কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমাদের লক্ষ্যই হলো এমন লড়াকু মানসিকতা নিয়ে খেলাটা গভীরে নিয়ে যাওয়া। এই চেষ্টাগুলো দলের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক। এমন ম্যাচে দর্শকরা যেই অর্থ খরচ করেছেন, আমি মনে করি তা সার্থক হয়েছে।’

