শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কী আছে সিসিডিবি ক্লাইমেট সেন্টারে

তানভীর আহমেদ
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ০৬:১৮ এএম

শেয়ার করুন:

কী আছে সিসিডিবি ক্লাইমেট সেন্টারে
গাজীপুরের শ্রীপুরে এ জলবায়ু পার্কটি গড়ে তুলেছে সিসিডিবি

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এসব মারাত্মক ঝুঁকির প্রভাব নিয়ে হাতে কলমে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করেছে সিসিডিবি ক্লইমেট সেন্টার। এখানে দেশের প্রধান প্রধান জলবায়ু সমস্যা এবং প্রায় ১০০টি জলবায়ু অভিযোজন পদ্ধতি ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করা হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে এ জলবায়ু পার্কটি গড়ে তুলেছে খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি)।


বিজ্ঞাপন


এখানে বাংলাদেশের প্রধান পাঁচটি পরিবেশগত অঞ্চল- উপকূল, খরা, চরাঞ্চল, পাহাড়ি ও হাওড় অঞ্চলের মডেল স্থাপন করা হয়েছে। যা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগত সমাধানের উপায় প্রদর্শন করবে। এটা জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং সর্বোপরি একটি জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেন্টারটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন, প্রশমন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস সংশ্লিষ্ট ৭০টিরও বেশি সময়োপযোগী এবং ব্যবহার উপযোগী প্রযুক্তি প্রদর্শনী রয়েছে। এছাড়াও ক্লাইমেট সেন্টারে থাকছে – ক্লাইমেট লার্নিং সেন্টার, ডিজিটাল থিয়েটার, এক্সিবিশন জোন, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরি, রিসার্চ সেন্টার এবং চিল্ড্রেন লার্নিং জোন। এর মাধ্যমে এ ক্লাইমেট সেন্টারটি জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করবে। ক্লাইমেট সেন্টারে গাইড ট্যুরের ব্যবস্থাও থাকবে।

এ জলবায়ু কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রথম এমন গবেষণার একটি কেন্দ্র। এখানে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, গবেষক, শিক্ষাবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোরসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য শিক্ষার একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে। এই কেন্দ্রটি বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সম-সাময়িক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ও লব্ধ জ্ঞান অন্যদের কাছে পৌঁছে দেবে।

সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার বলেন, সেন্টারটি আমাদের দেশকে জলবায়ু সমৃদ্ধি, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং শূন্য কার্বন নির্গমন পথের দিকে ধাবিত করবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে কীভাবে প্রভাবিত হয় তা যারা জানতে চায় এবং অভিযোজনের উপায়গুলো ও পুনর্নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে যারা জানতে চায়-তাদের সকলের জন্য এটা উন্মুক্ত থাকবে।


বিজ্ঞাপন


সেন্টারটি ভবিষ্যতে আঞ্চলিক থেকে বৈশ্বিক গবেষণার কেন্দ্রতে পরিণত হবে বলে আশা করছেন ড. সালিমুল হক। প্রতিদিন পৃথিবীর কোথাও না কোথাও জলবায়ুর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে বলে জানান তিনি। এ কারণে পরস্পরের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের তাগিদ দেন এ গবষক।

উল্লেখ্য, ১০ বছরের পরিকল্পনা ও নির্মাণকাজের পর অবশেষে খুলে দেয়া হলো এ সেন্টারটি। এ জলবায়ু কেন্দ্রটি রাজধানী ঢাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

টিএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর