শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

একুশে পদক গ্রহণ করল সাফজয়ী নারী ফুটবল দল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ক্রীড়াক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। বাংলাদেশকে দুই বার সাফ জয়ের গৌরবে গৌরবান্বিত করেছে নারী ফুটবল দল। ২০২২ সালে প্রথমবারের মত সাফ জয়ের পর গত বছরও সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাবিনা খাতুনরা। অসামান্য এমন সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এবার একুশে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে নারী দলের হাতে এ পদক তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দলের পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও।


বিজ্ঞাপন


ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের একুশে পদক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের একুশে পদক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তখন তিনি বলেন, 'নারী ফুটবল দল দেশকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে, তাদের পদক দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।'

গত বছরের অক্টোবরে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যে দলে ছিলেন রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।

এর আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার শুরুতে পদকের জন্য নারী ফুটবল দলের ১১ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন ১১ জন পাঠাবে- সেটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে বাফুফে। পরে বাফুফের অনুরোধে ৩২ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, যাতে ২৩ ফুটবলারের পাশাপাশি কোচ-কর্মকর্তাসহ আরও ৯ জন আছেন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন