মুমিন মাত্রই দুশ্চিন্তায় থাকেন, কীভাবে নাজাত পাওয়া যায়। কী আমল করলে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ হবে এবং কঠিন অবস্থা থেকে তিনি মুক্তি দেবেন। আর ‘দোয়া হচ্ছে মুমিনের হাতিয়ার’ (কানজুল উম্মাহ: ২/৮৩)।
তাই দোয়ার মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে যেকোনো কিছু আদায় করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। সাধারণত মহান আল্লাহর একটি সিফাত হচ্ছে তিনি লজ্জাশীল। তিনি কারো চাওয়া ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। হাদিসে এসেছে—
বিজ্ঞাপন
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার অনেক লজ্জা ও আত্মমর্যাদা রয়েছে। সুতরাং যখন মানুষ চাওয়ার জন্য তার কাছে দুহাত তোলে, তখন তিনি সেই হাত দুটিকে ব্যর্থ ও খালি ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করেন।’ (মুসলিম: ৩২১)
প্রিয়নবী (স.) তাঁর প্রিয় উম্মতকে যাবতীয় বিষয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার জন্য অসংখ্য দোয়া শিখিয়েছেন। তন্মধ্যে একটি দোয়া এমন, যেটি সকাল সন্ধ্যা পাঠ করলে দুনিয়া-আখেরাতের যাবতীয় দুশ্চিন্তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হবেন। দোয়াটি হলো—
حسبي الله لا إلـه إلا هو عليه توكلت وهو رب العرش العظيم ‘হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হু আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম’ অর্থ: ‘আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তাঁরই ওপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি’।
‘যে ব্যক্তি দোয়াটি সকালে ৭ বার ও সন্ধ্যায় ৭ বার পড়বে, তার দুনিয়া ও আখিরাতের সকল দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হবেন’ (আবু দাউদ: ৫০৮১)
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠ থেকে রেহাই পেতে উল্লেখিত দোয়া নিয়মিত পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।