হজরত দাউদ (আ.)-এর পুত্র সোলাইমান (আ.) ছিলেন একজন সম্মানিত নবী। তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে এমন এক বিস্ময়কর রাজত্ব প্রার্থনা করেছিলেন, যার অধিকারী যেন কেউ কখনও না হতে পারে। আল্লাহ তাআলা তাঁর সেই দোয়া কবুল করেন।
সোলাইমান (আ.)-কে পিপীলিকা ও পাখিদের ভাষা বোঝার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। জ্বিনদের ওপরও তাঁর কর্তৃত্ব ছিল। বায়ুকে পর্যন্ত সোলাইমান (আ.)-এর অধীন করে দেওয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে তাঁর সেই দোয়াটি তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দোয়াটি হলো— رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَّا يَنبَغِي لِأَحَدٍ مِّن بَعْدِي ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ উচ্চারণ: ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়াহাবলি মুলকাল লা-য়ামবাগি লিআহাদিম মিন বা’দি, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।’ অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজ্য দান করুন, যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেউ যেন না হয়। আপনি তো পরম দাতা।’ (সুরা সাদ: ৩৫)
আরও পড়ুন: সুলাইমান (আ.)-এর কি জাদুর আংটি ছিল?
বাস্তবেও দেখা যায় যে, সোলাইমান (আ.)-কে যেরূপ সাম্রাজ্য দান করা হয়েছিল, তেমন রাজত্বের অধিকারী পরবর্তীকালে কেউ হতে পারেননি। কেননা, বাতাস অধীনস্থ হওয়া, জ্বিন জাতি বশীভূত হওয়া এগুলো পরবর্তীকালে কেউ লাভ করতে পারেননি।
এক হাদিসে এসেছে, এক দুষ্ট জিন রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সালাত নষ্ট করতে চাইলে তিনি সেটাকে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সোলাইমান (আ.)-এর এই দোয়ার কথা স্মরণ করে তার সম্মানে তা করা ত্যাগ করেন। (সূত্র: বুখারি: ৩৪২৩)