রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হজের তাওয়াফ ও সাঈ করার পদ্ধতি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

হজের তাওয়াফ ও সাঈ করার পদ্ধতি

হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি রুকন হলো তাওয়াফ (কাবা শরিফের চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণ) এবং সাঈ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে সাতবার চলাচল)। এই দুটি ইবাদত সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হজের শুদ্ধতার জন্য অপরিহার্য।

তাওয়াফের পদ্ধতি ও দলিল

নিয়ত করে তাওয়াফ শুরু

তাওয়াফ শুরুর আগে নিয়ত করুন। হাজরে আসওয়াদের (কালো পাথর) সামনে দাঁড়িয়ে তাওয়াফ শুরু করতে হয়। প্রতিবার চক্করের শুরুতে হাত উঁচু করে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলুন।

তাওয়াফের চক্কর সংখ্যা: কাবা শরিফের চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণ করতে হবে। চার চক্করে তাওয়াফ সম্পন্ন করা যথার্থ নয়, কারণ রাসুলুল্লাহ (স.), সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন ও তাবে-তাবেয়িনদের কেউ চার চক্করে তাওয়াফ করেছেন বলে হাদিস ও ইতিহাসে উল্লেখ নেই ।

রমল ও ইজতিবা: পুরুষদের জন্য প্রথম তিন চক্করে দ্রুত পায়ে চলা (রমল) এবং তাওয়াফের সময় ডান কাঁধ খোলা রাখা (ইজতিবা) সুন্নত। ওমরার তাওয়াফ ও কুদুমের তাওয়াফে রমল ও ইজতিবা পালন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: সাফা-মারওয়া সায়ি করার সময় যে দোয়া পড়বেন

তাওয়াফের সালাত: সাত চক্কর পূর্ণ হলে মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করুন। ভিড় থাকলে মসজিদুল হারামের অন্যত্রও পড়া যায় ।

জমজম পানি পান: তাওয়াফ শেষে জমজম কূপের পানি পান করুন।

সাঈ করার পদ্ধতি ও দলিল

সাঈ শুরু: সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করুন। আল্লাহর প্রশংসা ও দোয়া করুন।

সাঈতে চলাচল: সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত এক চক্কর, মারওয়া থেকে সাফা পর্যন্ত আরেক চক্কর। এভাবে মোট সাত চক্কর সম্পন্ন করুন।

দোয়া ও জিকির: চলাচলের সময় আল্লাহর জিকির ও দোয়া করুন।

আরও পড়ুন: কাবাঘর তাওয়াফের বিধান ও ফজিলত

তাওয়াফ ও সাঈ’র সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে করণীয়

তাওয়াফ ও সাঈ’র ব্যাপারে যদি সন্দেহের উদ্রেক হয় যেমন, ৩ চক্কর না ৪ চক্কর পূর্ণ হয়েছে- এ সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দেয়, এমন অবস্থায় কম চক্কর অর্থাৎ ৩ চক্করকে নিশ্চিত ধরে অবশিষ্ট ৪ চক্কর সম্পন্ন করুন। সন্দেহ যদি ৩/৪ এর মধ্যে হয় তাহলে ৩ চক্করকে মূল ধরে বাকি চক্কর সম্পন্ন করুন আর সন্দেহ যদি ৪/৫ চক্কর নিয়ে হয়, তাহলে ৪ চক্করকে মূল ধরে বাকি চক্কর সম্পন্ন করুন। এভাবেই ৭ চক্করে তাওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করতে হবে।

সাঈ শেষে চুল কাটা: সাঈ শেষে পুরুষরা মাথা মুন্ডন (হালক) বা চুল ছাঁটবেন (কসর)। নারীরা চুলের এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটে ফেলবেন ।

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

পবিত্রতা: তাওয়াফের জন্য ওজু থাকা উত্তম, যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়। তবে পবিত্র হয়ে তাওয়াফ করা অধিক সতর্কতাপূর্ণ ও উত্তম ।

সতর ঢাকা: পুরুষ ও নারীদের শরীরের নির্দিষ্ট অংশ ঢেকে রাখতে হবে।

ঋতুস্রাব: নারীরা ঋতুস্রাব অবস্থায় তাওয়াফ করতে পারবেন না।

হাতিম: তাওয়াফের সময় হাতিমের বাইরে থেকে ঘূর্ণন করতে হবে ।

এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে হজের তাওয়াফ ও সাঈ সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন। আল্লাহ আমাদের সকলের হজ কবুল করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর