শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি, দেওবন্দের অসন্তোষ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পরও মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে ২০ রাকাতের পরিবর্তে তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। তাদের অনুকরণে সৌদি আরবের অনেকে মসজিদে এবারও ১০ রাকাত তারাবি অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে বরাবরই অসন্তোষ রয়েছে এশিয়ার অন্যতম ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের। এর আগেও বিভিন্ন রমজানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দেওবন্দসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র। তবে কোনো কথায় কান না দিয়ে সৌদি সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এই রমজানেও মক্কা মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে ১০ রাকাত তারাবি পড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মক্কা-মদিনায় তারাবি নামাজ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানা গেল

দারুল উলুম দেওবন্দ গেলো বছরের এক বিবৃতিতে হারামাইনে ১০ রাকাত তারাবির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছিল। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল খালেক মাদ্রাজি বলেন, মক্কা ও মদিনা শরিফ সব মুসলমানের ভালোবাসা ও ভক্তির কেন্দ্রস্থল। এই পবিত্র স্থানগুলোতে সর্বদা চলে আসছে ২০ রাকাত তারাবির জামাত। সৌদি সরকার কয়েক বছর ধরে ১০ রাকাত কমিয়ে মাত্র ১০ রাকাত করেছেন। তখন দারুল উলুম দেওবন্দ এ বিষয়ে (২৮ এপ্রিল ২০২১) সৌদি সরকারের কাছে লিখিত একটি আরবি বক্তব্য পাঠিয়ে এর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন।

মাওলানা আবদুল খালেক মাদ্রাজি আরও বলেন, এখন বিশ্ব করোনা মহামারির সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। সর্বত্র বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে, এমনকি সৌদি আরবেও করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপরেও মক্কা ও মদিনা শরিফে ২০ রাকাত তারাবির পরিবর্তে ১০ রাকাত তারাবি নিঃসন্দেহে আমাদের কলিজায় ছুরি চালানোর মতো।

আরও পড়ুন: দ্রুত তারাবি পড়লে যে ক্ষতি


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, এই দুই পবিত্র জায়গায় হকপন্থী অন্যান্য মাসলাক ও মাজহাব উপেক্ষা করে যেকোনো বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ঠিক নয়। তাই আমরা সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করছি অবিলম্বে মক্কা ও মদিনায় আগের মতো ২০ রাকাত তারাবি নামাজের জামাত চালু করা হোক।

সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও ভুল অখ্যায়িত করে মাওলানা মাদ্রাজি বলেন, এই সিদ্ধান্ত ভারত উপমহাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতএব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

তিনি এ বিষয়ে অন্যান্য মুসলিম সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে সৌদি আরব সরকারের কাছে স্মারকলিপি পাঠাতে বলেন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর