আনন্দ ও খুশির বার্তা নিয়ে আসে ঈদ। এদিন শিশু-কিশোরদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে ঈদি বা ঈদ সালামি। বড়দের পক্ষ থেকে পাওয়া এই সালামি শিশুদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদ সালামি দেওয়ার এই প্রচলনে কোনো আপত্তি বা ধর্মীয় বাধা-নিষেধ নেই। বরং এটি একটি সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক রীতি। এর মাধ্যমে ছোটদের প্রতি স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঈদ সালামির মাধ্যমে ছোটদের ঈদ আনন্দ আরও বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষকে খুশি করা মর্যাদাপূর্ণ কাজ। তাছাড়া ইসলামে উপহার দেওয়া-নেওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য (কাউকে কিছু) দেয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দেওয়া থেকে বিরত থাকে; আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যে ভালোবাসে আর আল্লাহর জন্যই যে ঘৃণা করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করল।’ (তিরমিজি: ২৫২১)
আরও পড়ুন: সৌদিতে ঈদ কবে জানা যাবে আজ
অন্য হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (স.) বলেছেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪)
তবে ঈদ সেলামি দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। যেমন-
বিজ্ঞাপন
১. ঈদ সালামি পাওয়ার জন্য ছোটদের অনেকে বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করে। এটি অনৈসলামিক কালচার। এর সম্প্রসারণ রোধ করা জরুরি। কেউ এমনটি করলে তাকে নিষেধ করতে হবে।
২. সালামি দেওয়ার ক্ষেত্রে ছোট ভাই-বোন ও সন্তানদের কাউকে দেওয়া হবে আর কাউকে বঞ্চিত করা হবে-এমনটি যেন না হয়। এতে কারো মনে আঘাত লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ৯ সুন্নত
৩. সবাইকে সমানভাবে উপহার দেয়া জরুরি নয় বরং বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী কম-বেশি করা যাবে। যেমন: বড়কে বেশি আর ছোটকে কম, বিবাহিতকে এক রকম অবিবাহিতকে অন্য রকম—এতে কোনো আপত্তি নেই।
৪. বাচ্চারা হাতে টাকা পেয়ে আজেবাজে ও গুনাহের কাজে ব্যয় করছে কি না—সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রত্যেকের রোজা কবুল করুন। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র। আমিন।