পুলিশ কর্মকর্তা থাকাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ আলোচিত বিভিন্ন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ। এবারের নির্বাচনে তিনি কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে নৌকার মনোনয়নও পেয়েছিলেন। তবে কর্মজীবনে সফল সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা রাজনীতির মাঠে নেমেই খেয়েছেন হোঁচট। প্রথমবার নির্বাচনেই পরাজিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।
বিজ্ঞাপন
এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট। সোহরাব উদ্দিনকে ২০ হাজার ৬০৭ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে নির্বাচনের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনের দিন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলে আব্দুল কাহার আকন্দকে বিজয়ী হিসেবে দেখানো হয়। এই খবর দেখে রাতেই কাহার আকন্দ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ ব্যাপারে বলেন, ভোট গণনার কোনো পর্যায়েই কাহার আকন্দ বিজয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়নি। দুটি টেলিভিশনে বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের মধ্যে এই আসনটি এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ এবার মনোনয়ন পাননি। তিনি প্রথমে কাহার আকন্দকে সমর্থন দিলেও পরে বিএনপির বহিষ্কৃত আলোচিত নেতা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে জামানত হারিয়েছেন সাবেক এমপি রঞ্জন।
আব্দুল কাহার আকন্দ সিআইডির চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, ২০০৪ সালের আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, বিডিআর বিদ্রোহসহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করেছেন। চাকরি জীবন শেষে তিনি ২০২০ সালে অবসরে যান।
জেবি