বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চাকরির পরীক্ষায় প্রতিবেদন লিখবেন কীভাবে

নিশীতা মিতু
প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

চাকরির পরীক্ষায় প্রতিবেদন লিখবেন কীভাবে

চাকরির লিখিত পরীক্ষায় অনেকসময় প্রতিবেদন লিখতে বলা হয়। এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে। তবে চাকরির পরীক্ষায় এমন প্রতিবেদন লিখতে দেওয়া হয় যা সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী। অনেকেই সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানেন না। পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানা থাকলে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। 

প্রতিবেদন কী?


বিজ্ঞাপন


কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যসংবলিত অনুসন্ধান ভিত্তিক বিবরণীকে প্রতিবেদন বলে। ইংরেজিতে যাকে Report বলে। যিনি প্রতিবেদন রচনা করেন, তাকে প্রতিবেদক বলা হয়। 

প্রতিবেদন কত প্রকার?

প্রতিবেদনের নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণি বা প্রকারভেদ নেই। এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণত প্রতিবেদনের যে প্রকারগুলো দেখা যায় তা হলো- 

সংবাদ প্রতিবেদন: সংবাদপত্রে বা ম্যাগাজিনে প্রকাশ যোগ্য প্রতিবেদন 
প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন: কোনো প্রতিষ্ঠানের মাসিক, ষাণ্মাসিক বা বার্ষিক অর্জন, কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন 
অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন: প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদনের থেকে ছোট আকারের প্রতিবেদন 
দাফতরিক প্রতিবেদন: প্রাতিষ্ঠানিক ঘটনা, স্থান, অবস্থা প্রভৃতি বিষয় যাচাই করে এই সম্পর্কিত তথ্য, তত্ত্ব-উপাত্ত তুলে ধরা হয় তৈরি করা প্রতিবেদন
তদন্ত প্রতিবেদন: কোনো ঘটনার সাপেক্ষে ঘটনার সত্য-মিথ্যা বা গভীরতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে লেখা প্রতিবেদন 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন-
রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম

গবেষণামূলক প্রতিবেদন: কোনো বিষয়ের ওপর গবেষণা বা জরিপ করার পরে তৈরি করা প্রতিবেদন 
প্রস্তাবনা প্রতিবেদন: কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো পদ্ধতি বা প্রকল্প প্রণয়নের লক্ষ্যে লেখা প্রতিবেদন 
ঘোষণা প্রতিবেদন: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য, সেবা বা সমস্যা সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়ার জন্য লেখা প্রতিবেদন 
নিয়মিত প্রতিবেদন: নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে কোনো ঘটনা বা কোনো বিষয়ের ওপর রচিত প্রতিবেদন 
বিশেষ প্রতিবেদন: বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা প্রতিবেদন
সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন: কোনো বিশেষ ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রতিবেদন 
রাজনৈতিক প্রতিবেদন: কোনো রাজনৈতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে লেখা প্রতিবেদন 
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন: সাংস্কৃতিক কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজনের ওপর ভিত্তি করে রচিত প্রতিবেদন 

প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম 

কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জাতীয় দিবস পালন বা স্কুলের কোনো সমস্যার বিবরণ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করার জন্য যে প্রতিবেদন পেশ করা হয় তা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন।

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম 

প্রতিবেদন লেখার সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন লেখা হবে সেই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য যুক্তিসহকারে লিখতে হবে। নিরেপেক্ষ অবস্থান থেকে প্রতিবেদন লেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ, একটি প্রতিবেদনে কখনোই প্রতিবেদকের নিজস্ব আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করা যাবে না। একটি ঘটনা যেভাবে ঘটেছে ঠিক সেভাবে উপস্থাপন করাই একটি মানসম্পন্ন প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য।

আরও পড়ুন
নিয়োগকারীর নজরে আসার ৩ কৌশল

সংবাদ প্রতিবেদন কাঠামো

একটি নির্ভুল সংবাদ প্রতিবেদনকে কয়েকটি অংশে ভাগ করা যায়- 

শিরোনাম (Heading): কয়েকটি শব্দে প্রতিবেদন মূল বিষয়ে ফুটিয়ে তোলে এমন শিরোনাম দিতে হবে। কোনভাবেই এটি দীর্ঘ করা যাবে না। 
ভূমিকা(Intro): এই অংশে তিন-চার লাইনে খবরের সারাংশ তুলে ধরা হয়। সংবাদ প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ইন্ট্রো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশ যদি আকর্ষণীয় হয় তাহলে পাঠক মূল লেখা পড়তে আগ্রহী হবেন। তাই এই অংশের বক্তব্য বেশ গোছালো হতে হবে। 
মূল প্রতিবেদন (News boby): এই অংশে বিশদভাবে পুরো ঘটনা তুলে ধরা হয়। 
সূত্র (Source): কোনো বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন লেখা হলে সেই বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সূত্র এ অংশে লিখতে হবে।
ব্যক্তিনাম পরিহার: সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যক্তিনাম পরিহার করা উচিত। এর পরিবর্তে পদমর্যাদা (সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক), সাধারণ পরিচয় যেমন: বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা, কারখানার শ্রমিকেরা কিংবা ভুক্তভোগী এলাকাবাসী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। এতে সংবাদে আলোচ্য ঘটনার সাথে ব্যক্তির সম্পৃক্ততা ভালোভাবে বোধগম্য হয়। তবে কেউ চাইলে পদবির পর নামও ব্যবহার করতে পারেন। 
বিবিধ তথ্য: সংবাদ প্রতিবেদনে স্থান, কাল ইত্যাদি তথ্য যথাযথভাবে দিতে থাকতে হবে।

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নমুনা

সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রতিবেদনের একটি নমুনা দেখুন- 

প্রতিবেদনের প্রকৃতি: (পত্রিকার কোন পাতাতে যাবে, যেমন ক্রীড়া, জাতীয় বা বিনোদন ইত্যাদি।)
প্রতিবেদনের বিষয়: (যে ধরনের প্রতিবেদন তা লিখতে হবে।)
প্রতিবেদনের সময়: ………………
প্রতিবেদনের তারিখ: ……………….
প্রতিবেদনের স্থান: …………………
প্রতিবেদনের শিরোনাম: ……………
বিবরণ:………………..………………..………………..………………..………………..…
নিজস্ব প্রতিবেদক, পত্রিকার নাম (বিবরণ শেষে বসবে)
প্রতিবেদনের সময়
প্রতিবেদকের স্বাক্ষর

আরও পড়ুন 
ইন্টারভিউ চলাকালীন ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার উদাহরণ 

প্রতিবেদনের শিরোনাম: শেরপুরে ৬১ ইটভাটার ৫৮টি অবৈধ
তারিখ: ২ জানুয়ারি, ২০২৩
প্রতিবেদনের স্থান: শেরপুর 

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্থাপন করা হয়েছে অধিকাংশ ইটভাটা। শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৬১টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে কৃষি জমি, গ্রামীণ পরিবেশের অভ্যন্তরে, লোকালয়ে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকার মাঝখানে। এদিকে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটিই হচ্ছে এ অধিকাংশ ইটভাটার মাটির উৎস। যার ফলে একদিকে একরের পর একর জমি পতিত হয়ে কৃষি বিধ্বস্ত হচ্ছে, অপরদিকে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জেলার ৫৮টি ভাটাই অবৈধ হলেও প্রশাসন কার্যত নীরব। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ছাড়াই নিয়ম না মেনে কৃষিজমি ও আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা এসব ভাটার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে একদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। আর মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে পরিবেশ।

এদিকে সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও পরিবেশ অধিদফতরের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেছে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম। তবে সেই অভিযানেও স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার উপস্থিতি ছিল না।

শেরপুর পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যমতে, শেরপুর জেলায় থাকা ৬১টি ইটভাটার মধ্যে ৫৮টিই চলছে অবৈধভাবে। এগুলোর কোনোটিরই নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র বা জেলা প্রশাসনের হালনাগাদ লাইসেন্স। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কৃষিজমি নষ্ট করে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা। এমনকি ইটভাটার আশপাশের দুই-তিন ফসলি জমির উর্বর মাটিও কেটে সেই মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট।

এছাড়া ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো নিষেধ থাকলেও কয়লার দাম বেশি থাকায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে বনের গাছ ও কাঠ। দিনে-দুপুরেই ট্রলি ও ট্রাকভর্তি করে বন থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে এসব গাছ।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইটভাটা স্থাপনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পরিত্যক্ত অনাবাদি জমি, নিচু জলাশয়ের ধারে, নদীর পাশে, পৌর শহর ও আবাসিক এলাকার কমপক্ষে চারদিকে এক কিলোমিটার দূরে জনশূন্য এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। তবে শেরপুরের কোনো শর্ত মানছেন না ভাটা মালিকরা। জেলার বেশিরভাগ ইটভাটাই গড়ে উঠেছে আবাদি জমি ও লোকালয়ের মধ্যেই।

শেরপুর পৌর শহরের কালীগঞ্জ মহল্লার বাসিন্দা আলম মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, কালিগঞ্জ মহল্লাতেই ১০ থেকে ১২টি ইটভাটা রয়েছে। পৌরসভার মধ্যেই ভাটাগুলো দেদারসে চলছে। ভাটায় কয়লা পোড়ানো হয়। এর ধোঁয়া ও ঝাঁজে  বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হয়। ঠান্ডা লেগেই থাকে। আর ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে অনেক গাছ মরে যায়। ভাটাগুলো হওয়ার পর এখানকার জমিতে ধানের ফলনও ভালো হয় না। বসতবাড়ির আশপাশে লাগানো ফলের গাছগুলোতে ঠিকমতো ফলন আসে না। আমগুলো এখন বরইয়ের মতো হয়ে গেছে। নারিকেলে পানি থাকে না।

আরও পড়ুন
পদ্মা সেতু এখন সাধারণ জ্ঞানের বিষয়

মোবারকপুর মহল্লার বিল্লাল হোসেন, আলি আযম, ছানুয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, মোবারকপুর ও কালীগঞ্জ মহল্লাতেই ১৫টির মতো ভাটা হয়েছে। এসব ইটভাটার ধুলি, ধোঁয়ার কারণে ঠিকমতো নিশ্বাস নেওয়া যায় না। ভাটা হওয়ার পর থেকে ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষের আর্থিক অভাবের সুযোগে আগাম টাকা দিয়েই ভাটা মালিকরা জমির উপরের উর্বর মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকও তখন বাধ্য হয়েই মাটি বিক্রি করছেন। নতুবা সেই জমিতে ফসল ফলানো মুশকিল। এতে কমে আসছে ফসলি জমির পরিমাণ।

পরিবেশবাদীরা বলেন, ইটের প্রয়োজন আছে। আর সেটারও প্রস্তুতের একটা নিয়মনীতি আছে আইনানুযায়ী। তবে আইনের তোয়াক্কা না করে আবাসিক এলাকা ও কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা। এসব ভাটার ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কার্যত প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এটা খুবই হতাশাজনক।

সম্প্রতি উচ্চ আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ মোতাবেক অবৈধ ইটভাটার তালিকা তৈরি করে বন্ধের কাজ শুরু করে জেলা পরিবেশ অধিদফতর। এরই আওতায় বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদফতর।

অভিযানকালে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকায় আল আমিন-১ ও ২ ব্রিকসকে সাত লাখ টাকা, ফাতেমা ব্রিকসকে তিন লাখ, জনতা ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা, মনিরা ব্রিকসকে তিন লাখ টাকা ও একতা ব্রিকসকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় জেলা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কয়েকজন ইটভাটা মালিক জানান, তারা বৈধভাবেই ব্যবসা করতে চান। ইটভাটার ছাড়পত্রের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের কাছে তারা আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের সব শর্ত পূরণ করা সম্ভব না হওয়ায় সেগুলো আটকে আছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল মাহমুদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৪ ধারা মোতাবেক ইটভাটা স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু জরিমানা করা ইটভাটাগুলোর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স হালনাগাদ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য যে নিয়ম-নীতি রয়েছে সেগুলো না মানায় ইটভাটাগুলোকে পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না।

শেরপুর পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ঢাকা মেইলকে বলেন, জেলার অবৈধ ইটভাটাগুলোর মধ্যে ছয়টিতে অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দুটি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার বলেন, এরইমধ্যে শেরপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে নীতিমালা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

নাঈম ইসলাম, ঢাকা মেইল 
শেরপুর
২ জানুয়ারি, ২০২৩

চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে প্রতবেদন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখুন। নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকা পড়ুন এবং নিউজ সাইট ভিজিট করুন। এতে সংবাদ প্রতিবেদন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর