পাকিস্তানে ভারতের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত পাকিস্তানের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদ। এই মসজিদ ও মাদ্রাসায় হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন স্বীকার করেছেন মাসুদ আজহার।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু।
বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) নামে যে ‘জঙ্গি’ সংগঠনের নেতৃত্ব দেন মাসুদ আজহার, বুধবার এক বিবৃতিতে তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানে বসবাসরত মাওলানা মাসুদ আজহার জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছেন।
জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মৌলভি আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’
তিনি বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান।

যদিও এটি ওপেন সিক্রেট যে আজহার পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। তবে ইসলামাবাদ বারবার দাবি করে এসেছে যে তারা তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানে না।
গতরাতে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি স্থানে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, এই হামলায় ৭০ জনের বেশি নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বেসামরিক হতাহতের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে জোর দিয়ে বলেছেন যে বেসামরিক ক্ষতি সর্বনিম্নে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।
ইএ