ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনোমিস্টস ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. সেলিম আল মামুন। তিনি বলেন, ২০২২-২৪ পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য ৩৫% অবমূল্যায়িত হওয়ার কারণে ডলারের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় এবং মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই খাতে স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সেলিম আল মামুন বলেন, গত ৬ মাসে আমদানি ও রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩.৫% এবং ১০.৯% এবং গত ৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা, ব্যবসার আকার, প্রকৃতি ও সক্ষমতা অনুযায়ী করা ব্যবস্থার সহজীকরণ, আমদানি-রফতানি ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা নিরসন, বাস্তবভিত্তিক ভ্যাট হার নির্ধারণের উপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, শত বছর ধরে পুরোনো ঢাকা ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হলেও যানজট, অবকাঠামোর অপ্রতুলতা এবং কর ও ভ্যাটের প্রতিবন্ধকতার কারণে এখানকার উদ্যোক্তাবৃন্দ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা নিরসনে সরকাররি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, বর্তমান অথনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এলসি মার্জিন নূন্যতম ৫০% থেকে হ্রাস করা প্রয়োজন। এছাড়াও অর্থবছরের মাঝে এসআরও জারি করে শুল্কহার পরিবর্তন করলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মনোয়ার হোসেন করের হার কমিয়ে করের আওতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন, সেই সাথে করের হার যৌক্তিকীকরণের ওপর জোরারোপ করেন।
বিজ্ঞাপন
ডিসিসিআই’র প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম বলেন, অসহনীয় যানজটের কারণে ব্যবসায়ীদের বিক্রি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, এমতাবস্থায় কর ও ভ্যাটের উচ্চ হার এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনার জটিলতার কারণে আমরা ক্রমশ ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছি।
ডিএমপি’র উপ-কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) জসীম উদ্দিন বলেন, পুরোনো ঢাকার যানজট নিরসনে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হবে, তবে এদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও আসন্ন রমজান মাসে নগদ টাকা পরিবহনে ব্যবসায়ীদের পুলিশের সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব করছি। যানজট নিরসনে পুরোনো ঢাকার বেশকিছু রাস্তা ওয়ানওয়ে করা হবে।
কিশোর গ্যাংকে একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে অভহিত করে তিনি বলেন, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে এটি মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।
টিএই/এফএ