সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ইসলামি ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক করা হবে: গভর্নর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

ইসলামি ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক করা হবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: ঢাকা মেইল

ইসলামি ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ইসলামি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন প্রয়োজন। রাজনীতির পালাবদল হলেও এসব সংস্কার চলতে হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে। এ ক্ষেত্রে আইনি ও নৈতিক উভয় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। যারা অর্থ পাচার করেছে, তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার না করে। সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহায়তা প্রয়োজন।

গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, আমানতকারীদের স্বার্থে সেসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথমে ১১টি ব্যাংক ও এরপর আরও দুই ব্যাংকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরও একটি ব্যাংক নিজেই পর্ষদে পরিবর্তন এনেছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কারা পর্ষদে আসবেন, স্বতন্ত্র পরিচালক কারা হবেন, তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি ওমর ফারুক খান

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, সেই সঙ্গে আছে ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে, তা যেন আগেই জানা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।

গভর্নর আরও বলেন, ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একদম নতুন রূপ দেওয়া হবে। একটি বড় ও অনেক ছোট ছোট ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। ইসলামি ব্যাংকের জন্য আইন ও তদারকির ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক পরিসরের উত্তম রীতিনীতি অনুসরণ করে এসব করা হবে।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর