বগুড়ার সোনাতলায় দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআইয়ের সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কোমল পানীয়, শিশু খাদ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য্য পণ্য তৈরি করা হচ্ছিল। বাজারেও দেদার বিক্রি হতো সেসব পণ্য। সেই তথ্য পেয়ে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সদরের গড় ফতেপুর গ্রামে মেসার্স সালেক ফুড অ্যাণ্ড ক্যামিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডে এ অভিযান চলে।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে বিপুল পরিমাণ পণ্য জব্দ করার পাশাপাশি কারখানা মালিকের বাবা ও কারখানার ব্যবস্থাপককে আটক করে তাদেরকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে জব্দ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা যায়, মেসার্স সালেক ফুড অ্যাণ্ড ক্যামিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন ওই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সালেক সোলার। সেই কারখানায় কোনো প্রকার বিএসটিআই বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়াই উৎপাদন শুরু করেন সুরভী ড্রিংকিং ওয়াটার, সুরভী মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, সুরভী সরিষার তেল, সুরভী শ্যাম্পু, সুরভী আইস ললি, সুরভী চানাচুর, লিকুইড ডিশওয়াশ, সালেক মশার কয়েল, সালেক বলপেন, সালেক হ্যাণ্ড ওয়াশ, সালেক স্যানিটাইজার, সালেক টয়লেট ক্লিনার ও এসপিএল ব্যাটারির পানি। অবৈধপন্থায় এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমীর সালমান রনির নেতৃত্বে এই অভযানে বিএসটিআই, এনএসআই, এপিবিএন ও থানা পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমীর সালমান রনি জানান, খাদ্য নিরাপত্তসহ অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিনিধি/এইচই