সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়ার অভিমানে গাইবান্ধার পৃথক স্থানে তিন ছাত্রী গলায় ফাঁস নিয়েছেন। এর মধ্যে তাসলিমা আক্তার দিশা ও লাবন্য খাতুন মারা গেছেন। এছাড়া প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন রুম্পা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২ টায় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বিকেলের দিকে গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের বুড়িখামার গ্রামের তুহিন মিয়ার মেয়ে ও ওয়ালিফ হাসানের স্ত্রী তাসলিম তিশা এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। এ কারণে স্বামীর বাড়ির ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গাইবান্ধা এনএইচ মর্ডান স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
এদিকে পলাশবাড়ী উপজেলার নুরপুর গ্রামের শিক্ষক আশরাফুল আলমের মেয়ে লাবন্য খাতুন এবার এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। এরপর অভিমান করে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন এই ছাত্রী।
অপরদিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার দক্ষিণ সন্তোলা গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লার মেয়ে রুম্পা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে নিজ ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুম্পা আক্তার। পৃথক এসব ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধি/ এমইউ
