বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের নিয়মিত বিক্ষোভ এবং অবস্থান কর্মসূচির ব্যানার ও মাইক ছিনিয়ে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় বিসিসি গেটে কর্মসূচি পালনকালে প্রহরী ও এক শ্রমিক নেতার বাঁধার মুখে পরেন আন্দোলনকারীরা। এরপর বাঁধা উপেক্ষা করে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি করে চাকরিচ্যুতরা। এসময় তারা দুই মাসের বকেয়া বেতন ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
তবে বিসিসির পাহারাদার সদস্যরা বলেছেন, তারা আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা হামলা করেছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত কর্মচারী নেতাও বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। চাকরিচ্যুতদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তৃতা দিয়েছেন বাসদের বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ডা. মনিষা চক্রবর্তী।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক কল্পনা বেগম জানান, আমরা আমাদের প্রতিদিনের কর্মসূচি অনুযায়ী নগর ভবনের গেটে অবস্থান নেই। দেড় মাস ধরে আমাদের বকেয়া বেতন ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ কর্মসূচি করছি। সোমবার নগর ভবনের গেটে অবস্থানকালে অফিস থেকে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বের হবেন বলে গেট ছাড়তে বলে। তখন দাবি আদায় না হলে গেট ছাড়বো না জানালে আমাদের বাধা দেয় পাহারাদাররা। এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি নূর খান।
দায়িত্বরত পাহারাদার সদস্যরা বলেন, আমাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বের হবেন বলে আন্দোলনকারীদের গেট ছেড়ে দিতে বলেছি। তখন আন্দোলনকারীরা ঝাড়ু নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।
বিসিসি কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি নূর খান বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অতীতে আন্দোলনকারীদের দাবি আদায়ে আমিও কাজ করেছি। কিন্তু সোমবার তাদের গেট ছেড়ে দিতে বললে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের কোন বিবেদ নেই। আমাদের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা অবস্থান করতে পারত না বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত সময়ে তাদের দাবি মেনে না নিলে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পরিবারে আসন্ন ঈদ আনন্দে কাটবে না। তাই অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সূত্র জানিয়েছে, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। বকেয়া বেতন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিসিসি থেকে।
প্রতিনিধি/এজে